E Purba Bardhaman

আমানতকারীদের জমা রাখা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ওম কনসালটেন্সির বিরুদ্ধে

পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

বর্ধমান, ২৩ এপ্রিলঃ- আমানতকারীদেDSC_6003 copyর জমা রাখা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ওম কনসালটেন্সি নামে একটি চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে। আমানতকারীদের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করেছে সংস্থাটি। জমা রাখা টাকা ফেরত না পেয়ে আমানতকারীরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু, থানা অভিযোগ নেয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতরা। প্রতারণার বিষয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন তাঁরা। সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি কেস রুজু করে তদন্তের জন্য বর্ধমান থানার আইসি-কে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশের পরও বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু, সংস্থাটির কর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি থানা। পুলিশের এই ভূমিকায় হতাশ প্রতারিতরা। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বর্ধমান থানার আই সি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই কেস শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।

    আদালতে বর্ধমান শহরের কালিবাজার এলাকার বাসিন্দা কুন্তল দাঁ জানিয়েছেন, গত বছরের প্রথমদিকে সংস্থাটি কারবার শুরু করে। চড়া সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংস্থাটি আমানত তুলতে থাকে। সংস্থার কর্তারা বিভিন্ন সময়ে বর্ধমানে এসে আমানতকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের টাকা জমা রাখার জন্য প্রলুব্ধ করে। কর্তাদের কথায় বিশ্বাস করে বিভিন্ন স্কীমে তিনি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা রাখেন। একইভাবে উৎপল মুখোপাধ্যায় সংস্থায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা রাখেন। সুদীপা দাঁ নামে এক আমানতকারী ৩০ হাজার টাকা এবং আনন্দ সোনকার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন স্কীমে সংস্থায় জমা দেন। একইভাবে পরেশনাথ দাস নামে এক আমানতকারী ৫০ হাজার টাকা জমা রাখেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমানতকারীরা টাকা তুলতে যান। কিন্তু, চিট ফান্ডটির কর্তারা টাকা ফেরত দেয়নি। বারবার তাগাদার পরও টাকা ফেরত না পেয়ে তাঁরা সংস্থাটির ডিরেক্টরদের বাড়ি যান। কিন্তু, ডিরেক্টররা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি। উলটে গুন্ডা প্রকৃতির লোকদের দিয়ে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ফের ডিরেক্টরদের কাছে টাকার তাগাদা করলে খুনেরও হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। কুন্তল বাবুর আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, বর্ধমান শহর থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলে এখন তা ফেরত দিচ্ছেনা সংস্থাটি। আমানতকারীদের টাকা আত্মসাত করে সংস্থার কর্তারা গা-ঢাকা দিয়েছে। এনিয়ে নালিশ জানাতে গেলে থানা তা নিতে অস্বীকার করায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর কয়েকদিন কেটে গেলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কী হয়েছে তা জানা নেই। তবে, থানাকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দেব।

23.2324387.863731
Exit mobile version