পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ জুন সকালে ব্যাঙ্ক খুলতে এসে গেট ও পিছনের জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান ব্যাঙ্কের কর্মীরা। ব্যাঙ্কের পিছনে একটি ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার এবং দু’টি তোয়ালে পড়ে থাকতে দেখেন কর্মীরা। ভিতরে ঢুকে ব্যাঙ্কের ভল্টের কোলাপসিবল গেট এবং শাটার ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। সেখানে স্ক্রডাইভার, প্লাস, শাবল, গ্যাসের নজেল পড়েছিল। ভল্ট ছিল ভাঙা অবস্থায়। ভল্টের গায়ে পোড়া দাগের চিহ্ন ছিল। ভল্টের ভিতরে থাকা ৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা এবং কিছু সোনার গয়নাও পাওয়া যায়নি। সেদিনই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মেমারি থানায় ডাকাতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু, সিসিটিভির সংযোগ দুষ্কৃতীরা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় ডাকাতির কিনারায় সমস্যায় পড়ে পুলিশ। যদিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগে পর্যন্ত কিছু ফুটেজ পায় পুলিশ। তাথেকে দুষ্কৃতীদের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা পায় পুলিশ। এরপর পুলিশ এলাকার কিছুদিনের কলডিটেলস সংগ্রহ করে পুলিশ। যা থেকে দু’টি সন্দেহ জনক নম্বর চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ডাকাতিতে জড়িত গ্যাংটি ঝাড়খণ্ডের বলে নিশ্চিত হয়। মোবাইলের সূত্র ধরেই আসগড় সহ গ্যাঙয়ের বাকিদের বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে। এর পরই গ্যাংটিকে ধরতে পুলিশ ঝাড়খন্ডে যায়। যদিও সেখানকার পুলিশ ঠিকমতো সাহায্য না করায় বাকিদের পুলিশ ধরতে পারেনি।
এর আগে অবশ্য সি আই ডি -র বিশেষজ্ঞরা কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কে এসে দুষ্কৃতীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে। এছাড়া ধৃতের ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে সংগৃহীত নমুনা মিলিয়ে দেখতে এদিন ধৃতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ডাকাতিতে দুই স্থানীয় যুবকের জড়িত থাকার কথা জানতে পেরেছে। ১ এবং ২ জুন দু’দিন ধরে গ্যাস কাটারের সাহায্যে দরজা, জানলা ভেঙে ব্যাঙ্কে ডাকাতি করা হয় বলে ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে। প্রথম দিন গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় পরের দিন অপারেশন সম্পূর্ন করা হয় বলে ধৃত জানিয়েছে।