হুগলীর আরামবাগের লক্ষ্মীপুরে মৃতের বাড়ি। তিনি বর্ধমান শহরের শ্যামবাজার সোনাপট্টি এলাকায় নিজের দোকানে সোনার কাজ করতেন। সেখানেই তিনি থাকতেন। আজ বিকালে পরিচিত এক রোগীকে দেখতে বামচাঁদাইপুরে শরণ্যা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে জাতীয় সড়কে বাইক চালিয়ে শহরে ফিরছিলেন। শহরে ঢোকার মুখে উল্লাস মোড়ের ক্রসিং –এ রাস্তা পারাপারের সময় দুর্গাপুরের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পরে সেখানেই দিলীপ বাবু মারা যান। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ী-আত্মীয়রা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন। অভিযোগ পুলিশকে খবর দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ আটকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দেয়। পুলিশ বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। এর পর পুলিশ লাঠি উচিয়ে ধাওয়া দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে হঠিয়ে দিয়ে মৃতদেহ উঠিয়ে নিয়ে চলে আসে।প্রায় ৪৫ মিনিট পর অবরোধ সরিয়ে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
মৃতের ছেলে চাঁদ মাথুর জানান, পুলিশকে জানানোর অনেকক্ষণ পর ঘটনা স্থলে আসে। পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতির কথা বলতেই আমরা মদ্যপ অবস্থায় আছি বলে লাঠিচার্জের ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।