রায়না, ১০ মার্চঃ- রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত রায়নায় শান্তি ফেরাতে রবিবার ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল। রায়নার বেলসরের মাঠে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় হিজলনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ৮ টি দল অংশ নেয়। কাগজে কলমে হিজলনা পঞ্চায়েত, নাগরিক পরিষদ এবং রায়না থানার উদ্যোগে হলেও প্রতিযোগিতাটি আয়োজনের সিংহভাগ দায়িত্ব ছিল পুলিশের হাতেই। প্রতিযোগিতাটিকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে, প্রতিযোগিতার আয়োজনকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এদিনের প্রতিযোগিতায় দাপিয়ে বেড়ালেন এমন কয়েকজন নেতা যাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র কেনা-বেচা, লুটপাট চালানো, খুন এবং সিপিএমের সঙ্গে যোগসাজগ করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার মামলা রয়েছে। এছাড়াও তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীকেই এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অপর গোষ্ঠীর কাউকেই এদিন দেখা যায়নি। এবছরের ১৭ জানুয়ারি পুলিশের উপর হামলা, লুটপাট, অস্ত্র কেনা-বেচা সহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রায়নার তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা নিয়ামল হক মণ্ডলকে আজ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে মঞ্চে বসে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতে দেখা যায়। এই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ ইতিমধ্যেই সিপিএম নেতা শেখ কওসর আলির সঙ্গে যোগসাজগ করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগও এনেছে। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। ফলে, খেলার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর এই উদ্যোগ কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মধ্যেই। উলটে তৃণমূলের একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার যে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে এদিন তা প্রবলভাবে সামনে চলে এসেছে। পুলিশের একপেশে আচরণ রায়নায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মদত দেবে বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্ধমানের এস ডি পি ও (সদর) অম্লান কুসুম ঘোষ বলেন, মানুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই, রায়নায় শান্তি ফেরাতে খেলাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগেও এলাকায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। খেলার মাঠে যে কেউ যোগ দিতে পারে। এনিয়ে অযথা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।