শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সংশোধনাগার গুলির দিকে কোনো দৃষ্টি ছিল না, ছিলোনা কোনো পরিকল্পনা। সংশোধনাগারগুলির কোনো বিকাশও ঘটানো হয়নি। মন্ত্রী বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এসে সংশোধনাগারের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তাদের দিকে যেমন নজর দিয়েছেন, তেমনি আবাসিকদের জন্যও বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। আবাসিকরা শুধু শিক্ষাই নয়, উচ্চশিক্ষ যাতে পায় তার বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফ
শুধু পড়াশুনা নয়, নাটক-নৃত্যনাট্য-যাত্রা-গান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিভাগে এরা অংশ নিচ্ছে। গোটা ভারতে খ্যাতি লাভ করেছে। ৮ জন বন্দি শিল্পীর একটি গানের ক্যাসেট প্রকাশ হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে এরা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। খেলাধূলাতেও পিছিয়ে নেই এই বন্দিরা।
বাইরে বেরিয়ে যাতে একাকিত্ব বোধ না করেন, যাতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন তাই বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষার ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।
সংশোধনাগারকে প্রকৃত সংশোধনাগার করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ বলে জানান মন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশোধন-প্রশাসন বিভাগের মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী ছাড়া আই জি কারা রনবীর কুমার, ডি আই জি , জেলা শাসক বর্ধমান ওঙ্কার সিং মীনা এবং জেলার মাইয়ামোডো গোইন উপস্থিত ছিলেন।
আই জি কারা রনবীর কুমারও মন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, আগে সুস্থ ব্যবস্থা ছিল না। রেকর্ড ঠিক মত মেন্টেন করা যেত না। ইন্টারভিউ ঠিক মত হত না। এখন সে সব সমস্যা বেশির ভাগই মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। বাকি সমস্যাও আস্তে আস্তে মিটে যাবে।
পাশাপাশি তিনি জেলে আই সি ডি এস সেন্টার করার পক্ষেও সওয়াল করেন। তিনি বলেন, অনেক মহিলাও এখানে আসেন। তাঁদের সাথে বাচ্চা থাকে। তাঁদের কথা ভেবে আমাদের কাছে আই সি ডি এস সেন্টার করার প্রস্তাব দিলে আমরা করে দেবো।
বর্তমানে বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে ১০০ জন মহিলা সহ ১১০০ জন বন্দি থাকার পরিকাঠামো আছে। আজ বন্দি আছে ১৯ জন মহিলা সহ ২৩১ জন। ৬০ জন কারারক্ষী থাকার অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে কারারক্ষীর সংখ্যা ৩৫ জন এবং ৩ জন প্রধান কারারক্ষীর জায়গায় মাত্র ১ জন আছেন। ডাক্তার এবং ফার্মাসিস্ট আছেন ১ জন করে। নতুন ভবন এবং আবাস তৈরী করতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। তৃণমূল সরকারের আমলে উদ্বোধন হলেও এটি তৈরী শুরু হয় বামফ্রন্টের আমল ২০০৭-২০০৮ সালে। কাজ শেষও হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই।