পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ ১৫-২০ জনের দষ্কৃতী দলটি প্রথমে নুরুল হুদার বাড়িতে যায়। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী পরিচয় দিয়ে দুষ্কৃতীরা দরজার কড়া নাড়ে। বিদ্যুতের বিল বাকি আছে জানিয়ে তারা দরজা খুলতে বলে। যদিও প্রথমে খুলতে রাজি না হলেও পরে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এর পরই স্বমূর্তি ধারণ করে ডাকাতরা। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে একটি ঘরে ঢুকিয়ে একজন ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা। নুরুলের স্ত্রী লুৎফান্নেসা বিবিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে আলমারির চাবি খুলতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। আলমারিতে থাকা টাকা, সোনার গয়না এবং কয়েকটি মোবাইল নিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর একই কায়দায় আশরাফ আলি হুদার বাড়ি থেকেও সোনার গয়না, টাকা, মোবাইল লুট করে দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় চীৎকার করলে গুলি করে মারার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। হেঁটেই সেখান থেকে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে, পুলিশের অনুমান, আশপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতে চেপেই দুষ্কৃতীরা পালায়। বর্ধমান থানার আই সি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দুষ্কৃতীরা ৭০ হাজার টাকা, ৫-৬ ভোরি সোনা এবং কয়েকটি মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। ডাকাত দলটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।