পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে পেশায় শহরেরই একটি বরফ কলের কর্মী সন্তোষ রায়ের সঙ্গে রেখার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এনিয়ে দু’টি পরিবারের অশান্তি চলছিল। তা সত্ত্বেও দু’জনে
অন্যান্য দিনের মতো সোমবার বিকালেও কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন রেখা। বাড়িতে ফিরতে দেরি হবে বলে পরিবারের লোকজনকে তিনি জানিয়ে যান। রাত ৮ টা নাগাদ বর্ধমান থানার পালা শ্রীরামপুর এলাকায় ডিভিসি-র ক্যানেলের পাড়ে গলার নথি কাটা এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এক বাইক আরোহী দেহটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি তুলে আনে। এরপর অনেক রাতেও স্ত্রী বাড়িতে না ফেরায় বর্ধমান থানায় ডায়েরি করতে যান বিকাশ। মৃত দেহ উদ্ধারের কথা জেনে সেটি তাঁর স্ত্রীরই বলে তিনি শনাক্ত করেন। এরপর তাঁর বক্তব্য শুনে খুনে পুতুলের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। গভীর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে নিয়েই তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ। রাস্তার অনেক জায়গায় রক্ত এবং বমি পড়েছিল। তা থেকে পুলিশের অনুমান, আচমকা নলিকাটা যাওয়ার পর বাঁচার মরীয়া চেষ্টা করেছিলেন রেখা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, কিছুদূর যাওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। সংসারে অশান্তি থেকে বাঁচতে সন্তোষই রেখাকে পালা শ্রীরামপুর এলাকায় ডেকে পাঠায়। পরে শাশুড়ি সহ আরও কয়েকজনের সাহায্যে তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতের স্বামী পরিমল রায়, মেয়ে পদ্মা রায় এবং জামাই সন্তোষ রায় –এর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।