বর্ধমান, ১৯ জুনঃ- বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মোল্লা সাদিউদ্দিন ওরফে লাল্টু এবং শেখ আজাদ আলি। দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমান থানার নতুন গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ৪-৫ জন বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বর্ধমান থানারই ক্ষেতিয়া বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশকে আসতে দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তাড়া করে পুলিশ সাদিউদ্দিন ও আজাদকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে দুটি মাস্কেট, ৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি থলিতে ৬ টি বোমা মিলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর জন্যই অভিযুক্তরা জড়ো হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত আজাদ ২০০৯ সালে নতুন গ্রামে তৃণমূল নেতা মোল্লা সামসুর রহমান ওরফে মন্টু মাস্টারকে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সিপিএমের তরফে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারের দাবিকে আষাঢ়ে গল্প বলে মন্তব্য করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের দুই কর্মীকে মামলায় ফাঁসাতে পুলিশই অস্ত্র গুঁজে দিয়েছে বলে সিপিএমের দাবি। বুধবার ধৃতদের বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি ধৃতদের ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
23.2324387.863731