পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাতে মেমারি-মালম্বা রোডে রাস্তার উপর গাছ ফেলে পথ আটকে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী বেশ কজনের টাকা, মোবাইল ফোন, আংটি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। টাকা এবং জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার পর রাস্তার পাশের মাঠে খপ্পরে পড়া লোকজনের হাত-পা বেঁধে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ছিনতাই হওয়া মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে সেগুলি বর্ধমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই আভিযান চালিয়ে পুলিশ কৃষ্ণ এবং ইসমাইলকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হয়। ধরা পড়ার পর প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা বর্ধমান, কালনা, পূর্বস্থলী, মেমারিতে সম্প্রতি হওয়া বেশ কয়েকটি ছিনতাই এবং ডাকাতিতে তাদের জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজন ধরা পড়ে ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে। ছিনতাই, ডাকাতির পাশাপাশি মাদক এবং অস্ত্র কারবারেও গ্যাংটি জড়িত বলে পুলিশের অনুমান। গ্যাংয়ের কয়েকজনের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, ডাকাতির একটি গ্যাংয়ের দু’জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতরা নানা সমাজ বিরোধী কাজকর্মে জড়িত। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।