পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, আজ সকালে রায়না থানা এলাকার বাঁধগাছা গ্রামের বাসীন্দারা রায়না থানায় খবর দেন
গ্রামবাসী সূত্রে খবর এই দুজন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠীর কর্মী। রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলের অনুমান, সম্প্রতি নিয়ামল হক নামে রায়নার এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। এই দুজন নিয়ামলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কর্মী ছিল। তাই বদলা নিতেই নিয়ামল গোষ্ঠী এদের ধরিয়ে দিল।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা জানান, হাফিজ উদ্দিন মণ্ডল এবং সেখ বাপির নামে দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট আছে। ২০১২ সালের আগষ্ট মাসে পুলিশের উপর আক্রমণ এবং ২০১৩ সালে নিজেদের মধ্যে বোমাবাজির মামলায় এই দুজন অভিযুক্ত। পুলিশ এদের ধরার চেষ্টা করছে। আজও গ্রামবাসীরা এদের বাড়ি ঘেরাও করলে এদের পরিবার সমেত সবাই গাঢাকা দিয়েছে। পুলিশ সন্ধান চালাচ্ছে। যদিও এদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্বন্ধে কিছু বলতে চাননি পুলিশ সুপার।
রায়নায় সিপিএম এবং তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা একের পর এক অস্ত্র নিয়ে ধরা পরায় সাধারণ মানুষেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রঙকে গুরুত্ব না দেওয়ায় সরকারেরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে বলে অভিজ্ঞমহলের অনুমান।