সরকারি হাসপাতালের ওষুধের দোকানে ৫২.২ শতাংশ ছাড় চালু হতেই বেসরকারি দোকান ৫৫ শতাংশ ছাড়ের ঘোষনা করল
admin
বর্ধমান, ১৩ ফেব্রুয়ারিঃ- বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যে ওষুধের দোকান চালু হতেই শুরু হয়ে গেল বাইরের দোকানদারদের সাথে প্রতিযোগিতা। এদিন পিপিপি মডেলে তৈরী হওয়া ওষুধের দোকান হাসপাতাল চত্ত্বরে উদ্বোধন এবং জেনেরিক ওষুধে সর্বাধিক ৫২.২ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ বিক্রী চালু হতেই হাসপাতাল চত্ত্বরের বাইরে থাকা ১০ টি বেসরকারী ওষুধের দোকান একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেয়। তাতে ঘোষনা করা হয় সরকারি হাসপাতালের সমস্ত প্রেসক্রিপশনের ওপর সকল প্রকার জেনেরিক ওষুধের ওপর ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। কৃষিমন্ত্রী তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মলয় ঘটক জানিয়েছেন, এই ঘটনা প্রমান করল এতদিন ধরে দোকানদাররা ৫৫ শতাংশ বেশি দামেই ওষুধ বিক্রি করত। অনেক কম দামে ওষুধ দেওয়া যায়, মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা যে সঠিক এবং বাস্তবসম্মত তাও প্রমাণ হল। এদিকে এই বিষয় নিয়ে একএক দোকানদারের একএক মত। কোনও কোনও দোকানদার জানান, এতে ওষুধের মান কমবে। এছাড়া যে কম্পানীর ওষুধ দেওয়া হবে সেই কম্পানী অতিরিক্ত দাম লিখেই ওষুধ বাজারে ছাড়বে। ফলে ছাড় দিলেও আদৌ কোনও লাভ হবেনা ক্রেতার। তবে ব্যবসায়িক স্বার্থে আমরা ওইসব ওষুধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। পাশাপাশি এর বিরুদ্ধ যুক্তি নিয়েও হাজির বেশ কিছু দোকানদার। তাঁদের বক্তব্য ওষুধের মান ঠিক না থাকলে ড্রাগ কন্টোল ডিপার্টমেন্ট এবং সরকার তা বিক্রির অনুমোদন দিতোনা। এছাড়া এই কম্পানীগুলি এমআর, ওষুধের প্রচার সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে খরচ কম করে অথবা না করে এবং মুনাফার পরিমাণ কম রেখে ওষুধ বাজারে ছাড়ে। তাই কম দামে ক্রেতা কিনতে পারেন। বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বর্ধমান শহর সম্পাদক রণেন রায় জানিয়েছেন, বিসিডিএ এখনও এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা ওই সমস্ত দোকানদারদের নিজস্ব ব্যাপার।