E Purba Bardhaman

সি আই ডি তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার মৃত কলেজ ছাত্রের পরিবার।

CID tadanto-er dabite CM-er sathe dekha korte gia poliবর্ধমান, ১০ জানুয়ারিঃ- সি আই ডি তদন্ত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও পুলিশের বাধায় সুযোগ পেলনা মৃত এক কলেজ ছাত্রের পরিবার। বৃহস্পতিবার বর্ধমান পুলিশ লাইনে সরকারি অনুষ্ঠানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে দেখা করে সি আই ডি তদন্তের আরজি জানাতে যায় মৃত রমেন সামন্ত -র পরিবারের লোকজন। মুখ্যমন্ত্রী আসার অনেক আগেই তাঁরা পুলিশ লাইনে পৌঁছে যায়।তাদের হাতে বেশ কয়েকটি পোস্টার ছিল। দোষীদের শাস্তি চাওয়ার পাশাপাশি সি আই ডি তদন্তের আরজিও লেখা ছিল পোস্টার গুলিতে। মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের রাস্তার পাশেই পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজন। মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে পৌঁছানোর ঘণ্টা খানেক আগে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। এর পরই পুলিশ তাদের মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) দেবাশিস সরকার সহ পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ বিষয়ে পুলিশের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। শুক্রবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথাও তাঁদের বলা হয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে তাঁদের ধরে আনা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ এলাকায় চিলড্রেন্স কালচারাল সেন্টারের সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে যায় শহরেরই আনন্দপল্লির যুবক রমেন সামন্ত। তিনি বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের ইংরাজী অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রাতে সুইমিং পুলের জল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে। এনিয়ে মৃতের পরিবারের তরফে বর্ধামান থানায় অভিযোগ করা হয়। তার ভিত্তিতে খুনের কেস রুজু করে সুইমিং পুলের ২ প্রশিক্ষক এবং কেয়ার টেকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের পুলিসি হেপাজতে নেয় পুলিশ। যদিও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, খুন নয়, দুর্ঘটনায় জলে ডুবে রমেনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের এই ত্তত্ব মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, খুনে জড়িত প্রভাবশালী কাউকে আড়াল করতেই খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে চাইছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সি আই ডি তদন্তের আরজি জানিয়ে মৃতের পরিবারের তরফে আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, চিঠির জবাব না পেয়ে এদিন দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চাইতে গিয়েছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশের বাধায় সেই সুযোগ না মেলায় তাই হতাশ পরিবারের লোকজন। মৃতের মামীমা কৃষ্ণা রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবই ভালো কাজ করছেন। তাঁর প্রতি আমাদের পরিবারের দারুন আস্থা। সুবিচার চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিশ সেই সুযোগ দিলনা। এতে আমারা হতাশ। বর্ধমান থানার আই সি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গণ্ডগোলের আশংকায় কয়েকজনকে থানায় ধরে আনা হয়েছে। না ধরা হলে অশান্তি হতে পারত। পরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

Exit mobile version