Site icon E Purba Bardhaman

কেস ডায়েরির নথি লোপাটের অভিযোগ উঠল ভাতার থানার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের আঙুল পিপি অফিসের দিকেও

বর্ধমান, ১৮ মার্চঃ- কেস ডায়েরির নথি লোপাটের অভিযোগ উঠল ভাতার থানার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। অন্য কেউ নন, নথি লোপাটের অভিযোগ এনেছেন কেসের সরকারি আইনজীবী। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর মন্তব্য করে তদন্তকারী অফিসারকে এবিষয়ে সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা বিচারক আশুতোষ কড়। আগামী ২১ মার্চের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য সোমবার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। নথি লোপাটের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় পিপি অফিসের দিকেও অভিযোগের আঙুল ওঠায় বিষয়টি অন্যমাত্রা পেয়েছে। এনিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন পিপি সুব্রত হাটি। ভাতার থানার ওসি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, আদলতের নির্দেশের ব্যাপারে কিছু জানা নেই। তবে, আদালত নির্দেশ দিলে অবশ্যই তা মানা হবে। কোথা থেকে কেস ডায়েরির পাতা হারিয়েছে বা আদৌ হারিয়েছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

     পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে ভাতার থানার পুলিশ একটি প্রেস স্টিকার সাঁটানো মেরুন রঙের গাড়ি আটক করে। গাড়িটি এসি এস আর তারে বোঝাই ছিল। পুলিশকে দেখে লরিটির চালক ও খালাসি চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাড়া করে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের এক সঙ্গীও ধরা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ধর্মেন্দ্র রাম, অনিল চৌপাল এবং শেখ আমজাদ। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দু’জনের বাড়ি কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে। অপর জনের বাড়ি বীরভূমের সিউড়ির চুড়ি পাড়ায়। জেরায় ধৃতরা জানায় বিভিন্ন জায়গা থেকে তার চুরি করে কলকাতার একটি কারখানায় তারা পাচার করে। দলের মূল পান্ডা বীরভূমের পাড়ুই থানার দেবগ্রামের রবিউল মোল্লা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপ গান, এক রাউন্ড গুলি, ভোজালি প্রভৃতি বাজেয়াপ্ত হয়। গাড়িটির ইঞ্জিন নম্বর এবং চেসিস নম্বর জানতে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানো হয়। যদিও সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। এরই মাঝে বর্ধমানের একজন নিজেকে মালিক দাবি করে লরিটিকে ছাড়িয়ে নেয়।

     কেসের সরকারি আইনজীবী অরূপ দাস বলেন, এদিন রবিউলের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। কেস ডায়েরি ঘাঁটতে গিয়ে দেখি, পাতার নম্বর ওলট-পালট হয়ে আছে। ১৬১ ধারায় রেকর্ড করা দু’টি জবানবন্দি কেস ডায়েরি থেকে লোপাট হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এসব করা হয়েছে। তাই, বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুতর তা বিচারকও মেনে নিয়েছেন। তবে, কোথাথেকে মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি লোপাট হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়।

Exit mobile version