পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ জানুয়ারি রায়না থানার জোতসাদি গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট বাধে। দুই গোঠীই ব্যাপক বোমাবাজি করে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু, বোমাবাজির জেরে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। হামলায় হোসেন জড়িত বলে পুলিশের দাবি। তার কয়েকদিন পর বাঁধগাছায় বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলার ঘটনাতেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বাম আমলে তাঁর বিরুদ্ধে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। দু’টি খুনের মামলাতেও তিনি অভিযুক্ত। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, পুলিশি তাড়ার কারনেই হোসেন থানায় আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়েছে। ধরা পড়ার পর পুলিশকে তৃণমূল নেতা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। সেই সব তথ্য যাচাইয়ের জন্য ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতের আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা সদন তা বলেন, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী ছিল হোসেন। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বহু কেস খেয়েছে। এখন কোনও কোনও মহল থেকে তাঁর সঙ্গে সিপিএমের হাত মিলিয়ে চলার হাস্যকর অভিযোগ তোলা হচ্ছে।