E Purba Bardhaman

দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে রায়না থানায় গিয়ে ধরা দিলেন ইউ এ পি এ, খুন সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা মহম্মদ হোসেন

Raina Thana elakar Murder saho ekadhik Case-a wanted Criminal Skরায়না ও বর্ধমান, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ- দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে রায়না থানায় গিয়ে ধরা দিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা মহম্মদ হোসেন। বুধবার সকালে তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন। রায়না থানারই বেলসর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, লুটপাট চালানো, ভাঙচুর, খুন এবং ইউ এ পি এ ধারায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি বাম আমলের। সরকার পরিবর্তনের পর দলীয় কর্মীদের উপর হামলা, লুটপাট চালানো এবং অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের ধারায় বেশ কয়েকটি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হয়। বেশ কয়েকটি মামলা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এতদিন তাঁকে ধরতে পারেনি। এদিনই ধৃতকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

     পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ জানুয়ারি রায়না থানার জোতসাদি গ্রামে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট বাধে। দুই গোঠীই ব্যাপক বোমাবাজি করে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু, বোমাবাজির জেরে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। হামলায় হোসেন জড়িত বলে পুলিশের দাবি। তার কয়েকদিন পর বাঁধগাছায় বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলার ঘটনাতেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বাম আমলে তাঁর বিরুদ্ধে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। দু’টি খুনের মামলাতেও তিনি অভিযুক্ত। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মীর্জা বলেন, পুলিশি তাড়ার কারনেই হোসেন থানায় আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়েছে। ধরা পড়ার পর পুলিশকে তৃণমূল নেতা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। সেই সব তথ্য যাচাইয়ের জন্য ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতের আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা সদন তা বলেন, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী ছিল হোসেন। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বহু কেস খেয়েছে। এখন কোনও কোনও মহল থেকে তাঁর সঙ্গে সিপিএমের হাত মিলিয়ে চলার হাস্যকর অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

Exit mobile version