বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সরকারের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে বালির ই-চালান তৈরির ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। ধৃতের নাম আল্লারাখা খান ওরফে রাকু। বীরভূমের বোলপুর থানার কাশীপুরে তার বাড়ি। বর্তমানে বোলপুর থানার লোয়ার বাঁধগড়া এলাকায় থাকে। সেখান থেকেই রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিসি হেফাজতে থাকা লায়েক আজাহার উদ্দিন, মির আবু সিদ্দিক, শেখ সরফুদ্দিন ওরফে মনোজ ও শেখ মণিরুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় আল্লারাখার জড়িত থাকার কথা জেনেছে পুলিস। তার কাছ থেকে ৫টি নকল ই-চালান উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। তাঁর স্মার্টফোনটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। সোমবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতকে ৫ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জাল ই-চালানে বালি পাচার করা হচ্ছিল। বেশকিছু ই-চালান বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। কিউআর কোড পরীক্ষা করে জানা যায়, সেগুলি জাল। এরপরই পুলিস নড়েচড়ে বসে। কোথা থেকে জাল ই-চালান তৈরি করা হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, আজাহারউদ্দিন ও সিদ্দিক এই চক্রে জড়িত। বৃহস্পতিবার বিকেলে খেজুরহাটি বাজার থেকে আজাহারউদ্দিন ও সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনের কাছ থেকে ১২টি ই-চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেগুলি জাল বলে নিশ্চিত হয় পুলিস। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল ই-চালান তৈরিতে সরফুদ্দিন ও মণিরুলের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে পুলিস। এরপরই ধৃত দু’জনকে নিয়ে পলেমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। সেখান থেকেই অপর দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে আরও ৪টি ই-চালান বাজেয়াপ্ত হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, তারা সরকারের নামে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলেছে। অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ব্যবহার করে নকল ই-চালান তৈরি করে তা চড়া দামে বালির কারবারিদের বিক্রি করেছে।