বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- নিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ তুলল বর্ধমানের ১০২ ও ১০৮ জরুরি অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সহকারীরা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার চালক ও অ্যাটেনডেন্টদের পক্ষে শুভংকর দত্ত, অনিমেষ সরকার, সন্দীপ নাগ প্রমুখরা জানিয়েছেন, ইএমআরআই গ্রিন হেলথ সার্ভিস কোম্পানিতে ৬ বছর ধরে তাঁরা কাজ করছেন। কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানি বঞ্চিত করছে। জেলার দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিরা তাঁদের বলপূর্বক এবং মানসিকভাবে হেনস্তা করছে। এই চালক ও সহকারীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সময়ে মাইনে দেওয়া হয় না। শ্রম দপ্তরের নিয়মানুযায়ী ইনক্রিমেন্ট হয়না। শেষ ২ বছর ইনক্রিমেন্ট হয়নি। এরই সঙ্গে এদিন তাঁরা মারাত্মক অভিযোগ এনে বলেছেন, এই জরুরি অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়না। তাঁদের টার্গেট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেককে অন্যায়ভাবে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সন্দীপ নাগ জানিয়েছেন, অনেক অ্যাম্বুলেন্সেই সাইরেন নেই, হুটার নেই, স্টেপনি নেই, যন্ত্রপাতি নেই -কিন্তু পরিষেবা দিতে হবে। এর ফলে অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সবাইকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রোগীর আত্মীয়রা তাঁদের উপর চাপ দিচ্ছেন। চালকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে চালক ও সহকারীরা অভিযোগ করেছেন, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কোম্পানি থেকে হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ, ফিনাইল, গার্বেজ ব্যাগ প্রভৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো গাড়িতে পৌঁছায় না। সেগুলো কোথায় চলে যায় তাঁরা জানেন না। গাড়ির টায়ারের অবস্থাও খুব খারাপ থাকে। অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বেতন অল্প। সেই টাকাও সময়ে পাওয়া যায় না। শ্রম দপ্তরে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। ইএসআই-এর টাকা কাটা হলেও তাঁরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি এব্যাপারে যে টাকা কাটা হয় তার থেকে কম টাকার মেসেজ আসে তাঁদের মোবাইল ফোনে। তাঁদের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান না হলে রাজ্যের প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন এই পেশার সাথে যুক্ত কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।