E Purba Bardhaman

বর্ধমান শহরের একটি পাড়াতেই ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত, নড়েচড়ে বসল প্রশাসন

12 people have been infected with dengue in an area of ​​Burdwan municipality.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের রসিকপুর এলাকায় মোট ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মশা নিধনে নামল বর্ধমান পৌরসভা। উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই বর্ধমান শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসিকপুর এলাকায় তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকের জ্বরে আক্রান্তের খবর ছিল। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বর্ধমান পৌরসভাকে এলাকায় বিশেষ কাম্পে করে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় ফিবার ক্লিনিক খোলা হয়। সোমবার ক্লিনিকে পরীক্ষা করে আরোও ৯ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের পজিটিভ রির্পোট আসে। ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়ারও পরীক্ষা করা হয় ওই এলাকায়। বুধবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব জলি চৌধুরী-সহ একটি প্রতিনিধি দল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, পুরপ্রধান-সহ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরাও। পরিদর্শন করে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। খোলা হয়েছে বর্ধমান পুর এলাকার জন্য ডেঙ্গু সংক্রান্ত একটি হেল্পলাইন নম্বরও (৭৩১৮৬৩৫৫৬৯)। একই এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পৌরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। মর্শার লাভা নষ্ট করতে এলাকায় নামানো হয় সাফাই কর্মীদের। অভিযান করা হয় বাড়ি বাড়ি। মশার লার্ভা নষ্ট করতে বাড়িতে জমা জল ফেলে দেওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে ফিবার ক্লিনিক। জ্বর হলেই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া টেস্ট করা হচ্ছে ক্লিনিকে। এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাস থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। এদিন পুরপ্রধান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, রসিকপুর এলাকার একটি পাড়াতেই ১২জন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর আসার পরই তাঁরা সজাগ হয়েছেন। ইতিমধ্যে গোটা পুর এলাকায় ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে কোথাও জল জমে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন রসিকপুর এলাকায় বিভিন্ন পাত্রে জল জমে থাকায় সেগুলি পৌরসভার পক্ষ থেকে নষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট করতে ছাড়া হচ্ছে গাপ্পি মাছও। তিনি জানিয়েছেন, গোটা পুর এলাকায় নজরদারি চলছে। তাঁরা সর্বদা সজাগ রয়েছেন।

Exit mobile version