E Purba Bardhaman

পলাশন পঞ্চায়েত অফিসে হামলা, অভিযুক্ত ২ পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১৭ জনের আদালতে আত্মসমর্পণ

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রায়না-১ ব্লকে পলাশন পঞ্চায়েত অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও প্রধানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজে অভিযুক্ত দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১৭ জন বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারীদের নাম বাসুদের ঘোষ, জাকির হোসেন, শেখ আব্দুল রেজ্জাক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, আদিত্য ভট্টাচার্য, সমীর কোঙার, পার্থসারথি লাহা, শেখ নঈম, কাজি আশরাফ ওরফে মিঠু, শেখ ইসমাইল, শেখ আজফার, কল্লোল মণ্ডল, আশিস ঢোলে, শেখ লতিফ, শেখ আব্বাস, সাবির আলি মল্লিক ও মহাদেব ঘোষ। এর মধ্যে বাসুদেব ঘোষ ও জাকির হোসেন পঞ্চায়েতের সদস্য। কল্লোল রায়না-১ ব্লকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। পলাশন এলাকাতেই আত্মসমর্পণকারীদের বাড়ি। তাঁদের হয়ে আইনজীবী শান্তিরঞ্জন হাজরা জামিনের সওয়ালে বলেন, প্রধান প্রভাব খাটিয়ে এই মামলা করেছেন। মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্তরা একই দলের। অন্যদিকে, অভিযোগকারীনির আইনজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানকে অশ্লীল ভাষায় জাত তুলে গালিগালাজ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা অভিযোগ নেয়নি। তাই আদালতে মামলা করা হয়। অভিযুক্তরা জামিন পেলে সমাজের কাছে অন্য বার্তা যাবে। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে জামিনের আবেদন খারিজ করে আত্মসমর্পণকারীদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৭ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশের নিের্দশ দেন প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিশেষ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ।
আদালতে পঞ্চায়েতের প্রধান অভিযোগ করেন, গত ১৫ জুলাই পঞ্চায়েত এলাকার রামবাটি গ্রামে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প চলছিল। সেখানে তিনি ও পঞ্চায়েতের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পঞ্চায়েত সদস্যরা সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত অফিসে হামলা চালায়। অফিসের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লোপাট করা হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরেরদিন পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় ফের গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাঁকে জাত তুলে কথা বলা হয়। তাঁর আইনজীবী বলেন, সিজেএম আদালতে এসসিএসটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের নিের্দশ দেয়। সেই মামলায় এদিন ১৭ জন অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে তাঁদের।


Exit mobile version