E Purba Bardhaman

আমূল মিষ্টি দই খেয়ে অসুস্থ ২০০ জন, নির্দিষ্ট ব্যাচের দই বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর

200 people sick after eating Amul Sweet Yogurt, Due to the outbreak of poisoning the Health Department has banned the sale of 'Amul Mishti Doi'

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিষক্রিয়ার জেরে সোমবারই পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের আমূল মিষ্টি দই বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার জেলার সমস্ত খুচরা বিক্রেতা, পরিবেশক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয় বাঁকুড়া জেলায় ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্ট লিমিটেড-এর প্রস্তুত এই আমূল মিষ্টি দইয়ের একটি নির্দিষ্ট ব্যাচে (KPV3653) বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার ২ টি ব্লক থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়ার প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। এবং এই বিষক্রিয়ার সূত্র ধরে বাঁকুড়ার জয়রামবাটির ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্ট লিমিটেড-এর প্রস্তুত KPV3653 ব্যাচের ‘আমূল মিষ্টি দই’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষায় স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মেমারী ২-এর পাহাড়হাটিতে ৩ জানুয়ারি ও রায়না ২ ব্লকের মাধবডিহিতে ৫ জানুয়ারি দুটো শ্রাদ্ধ বাড়িতে এই দই খেয়ে ২০০-র বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে পাহাড়হাটির ৭০ জন এবং মাধবডিহির ৬০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বর্তমানে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত করতে গিয়ে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের দই-কে কারণ হিসাবে অনুমান করা হয়। KPV3653 ব্যাচের ‘আমূল মিষ্টি দই’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সোমবারই মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষায় রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সেখানে দই-এর নমুনায় স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। গতকালই নোটিশ জারি করা হয়েছে। সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, এই দই খেয়ে যাঁরা অসুস্থ হন তাঁদের লক্ষণ ছিল ডায়রিয়া এবং বমি। এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই দুটি অনুষ্ঠানে যাঁরা অন্যান্য খাবার খেয়েছেন কিন্তু দই খান নি তাঁদের কিছু হয়নি। এমনকি অনেকে দই হাতে করে বাড়ি নিয়ে গিয়ে বাড়ির অন্য সদস্যকে দিয়েছেন। সেই সদস্য শুধু দই খেয়ে অসুস্থ। কিন্তু যিনি অন্যান্য খাবার খেয়েছেন দই খাননি বাড়ি নিয়ে এসেছেন তিনি সুস্থ। তিনি জানিয়েছেন, প্রস্তুতকারী কোম্পানি যেহেতু এই জেলার নয় তাই রাজ্যকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকেই কোম্পানির সাথে কথা বলবে। ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণ রাজ্য নিজে বা ওই জেলাকে দিয়ে তদন্ত করে দেখবে। হয়ত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা হয়নি। তবে তদন্তের পরেই সেটা জানা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দেখা গেছে এই ব্যাচের দই বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। অনেক জায়গায় দোকানদাররা পুড়িয়ে দিয়েছেন। এদিন পুলিশ এবং ফুড সেফটি অফিসারদের জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাঠান হয়েছিল। তাঁরা ওই ব্যাচের দই পাননি। হয় তুলে নিয়েছে বা নষ্ট করে দিয়েছে।

Exit mobile version