আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিস। ধৃতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পুলিসের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। ধৃতকে জোর করে পুলিসের গাড়ি থেকে নামিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাধা দিতে গেলে পুলিসকে মারধর করা হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। ইটের আঘাতে পুলিসের গাড়ির পিছনের কাচ ভাঙে। কোনওক্রমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসে পুলিস। ঘটনার দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিস হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম নুরউদ্দিন শেখ ওরফে সিটু, আদ্দাম শা ও ফিরোজ শেখ। আউশগ্রাম থানার ভেদিয়ার কুঠিরপাড়ায় তাদের বাড়ি। ভেদিয়া ক্যাম্পের এএসআই সুরেশ ঈশ্বরের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হয়ে আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। আদালতে তিনি বলেন, পুলিসের উপর হামলার অভিযোগ ঠিক নয়। মামলা সাজিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা অবশ্য জামিনের জোরালো বিরোধিতা করেন। সওয়াল শুনে সপ্তাহে ২ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরারশর্তে প্রত্যেকের দেড় হাজার টাকার বন্ডে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কুঠিরপাড়ায় চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় পুলিস। চোলাইয়ের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস দেবদাস মাঝিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে নিয়ে আসার সময় ভেদিয়া হাটতলার কাছে পুলিসের গাড়ি ঘিরে ফেলে কয়েকজন। তাতে নেতৃত্ব দেয় মান্নান শেখ। ধৃতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পুলিস এলাকাবাসীকে বাঝানোর চেষ্টা করে। তাতে কর্ণপাত না করে টানা-হাচড়া করে গাড়ি থেকে পুলিস কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিসকে মারধরও করা হয়। যদিও ধৃতকে ছাড়েনি পুলিস। পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। কোনও রকমে পুলিস ধৃতকে নিয়ে থানায় পৌঁছায়।