বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কল ডাম্পিং পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে আউশগ্রামে ডাকাতির ঘটনার কিনারা হল। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম প্রণব মল্লিক, বিজন বিশ্বাস, অশ্রু বিশ্বাস ও পবিত্র মণ্ডল। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার ১১ মাইলের শ্যামবাজার কলোনিতে প্রণবের বাড়ি। ১১ মাইল শনিমন্দির এলাকায় বিজন ও অশ্রুর বাড়ি। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার নিত্যানন্দপুরে পবিত্রর আদিবাড়ি। বর্তমানে সে আউশগ্রাম থানার উত্তর রামনগরে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তর রামনগর থেকে ধরা হয় পবিত্রকে। বাকিদের ১১ মাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা ধৃতরা কবুল করেছে বলে পুলিসের দাবি। তাদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন এবং উত্তর ২৪ পরগণার ৩-৪ জন জড়িত বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিস। ধৃতদের এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ডাকাতির মালপত্র উদ্ধার করতে এবং গ্যাংয়ের বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতদের ১১ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর ভোররাতে ১২-১৫ জন দুষ্কৃতি আউশগ্রাম থানার পলাশতলার অনিলকান্তি দত্তর বাড়িতে হানা দেয়। গ্রিলের তালা ভেঙে দুষ্কৃতিরা ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে হাঁসুয়া, লাঠি, রড ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। বাড়ির লোকজনকে মুখ বন্ধ করে আটকে রেখে দুষ্কৃতি দলটি লুটপাট চালায়। আলমারি ভেঙে ৩০০ ইউএস ডলার, ৩ হাজার জাম্বিয়ান কারেন্সি, ২৫ হাজার টাকা, ৩ ভরি সোনার গয়না, ৫ ভরি রুপোর গয়না ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করে দুষ্কৃতিরা। দুষ্কৃতিকারীদের বয়স ২৪-২৫ এর মধ্যে ছিল। তাদের পরনে ছিল বারমুডা। মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। তারা বাংলা ভাষাতেই সাবলীলভাবে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। আধ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন সেরে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে আলপথ ধরে পালায় দলটি। পালানোর সময় স্থানীয় দুই বাসিন্দাকে মারধরও করে তারা। তদন্তে নেমে পুলিস পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে। তবে, তেমন কোনও তথ্য না মেলায় কল ডাম্পিং পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। তা থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক নম্বর মেলে। সেই সূত্র ধরে ঘটনায় ওই চারজনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিস।