বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে ভারত সেরা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
admin
বর্ধমান, ০৮ জানুয়ারীঃ- পেনাল্টি থেকে করা একমাত্র গোলে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে ভারত সেরা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। গোলটি করেন শান্তুনু সরকার। তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা হুগলির মহসীন কলেজের কলাবিভাগের ছাত্র। ৮২ মিনিটে বক্সের বাঁদিক থেকে ভেসে আসা কোমড় উচ্চতার সেন্টার রিসিভ করতে গিয়ে বক্সের মধ্যে কেরালার এক ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। বলের খুব কাছেই ছিলেন রেফারি, তৎক্ষনাৎ তিনি হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। নায্য পেনাল্টি। তা সত্ত্বেও রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সাইড লাইনের পাশে চলে যান কেরালার ফুটবলাররা। কেরালার কোচ সাথীবন বালান ফুটবলারদের মাঠ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কোচের নির্দেশে খেলোয়াড়েরা মাঠ ছাড়েন। শুধু এক্ষেত্রেই নয়, এদিন ম্যাচ চলাকালীন প্রায় সারাক্ষণই রেফারির সিদ্ধান্তের দৃষ্টিকটু ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে দর্শকদের তাতানোর চেষ্টা করেন কেরালার কোচ। তাতে কাজও হয়। বর্ধমান পেনাল্টি পাওয়ার পর উত্তর দিকের দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়েন। রেফারি এবং লাইন্সম্যানদের মারধরও করেন দর্শকরা। সেই সময় মাঠে উপস্থিত তিন কনস্টেবল নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এধরনের খেলার মাঠে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ রাখা উচিত ছিল। তাছাড়া ফেন্সিংয়ের ভিতরে প্রচুর সংখ্যক দর্শক ঢুকে পড়ায় সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মী রেফারি এবং লাইন্সম্যানদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। সেখানেও উশৃঙ্খল দর্শকরা হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোদা এলাকার এক তৃণমূল নেতা চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষমেশ গণ্ডগোল শুরুর প্রায় ৪৫ মিনিট পর বর্ধমান থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ মাঠে পৌঁছান। পুলিশ মাঠে ঢুকে পড়া দর্শকদের বের করে দেওয়ার পর ফের খেলা শুরু হয়। সর্বভারতীয় পর্যায়ের ফুটবলের ফাইনালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কেন মাত্র ৩ জন পুলিশ কর্মী মাঠে ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি কীভাবে মাঠের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক দর্শক ঢুকে পড়ল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এধরনের বড়মাপের প্রতযোগিতা আয়োজনের মতো পরিকাঠামো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আদৌ রয়েছে কীনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সর্বভারতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় বেশির ভাগ রেফারির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিন কেরালার কোচ টেকনিক্যাল এরিয়ার মধ্যে থেকে যেভাবে দৃষ্টিকটু আচরন করেন তার পরও কেন তাঁকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ দেখাতে পারলেন না? সাইড বেঞ্চে বসে কেরলের এক খেলোয়াড় সারাক্ষণ ক্যামেরা নিয়ে ম্যাচ রেকর্ডিং করে গেলেন তা কীভাবে রেফারি এবং ম্যাচ কমিশনারের নজর এড়াল? পেনাল্টিতে হেরে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান বয়কট করে কেরল বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরও সর্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থা কেরালার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয় কীনা সেটাই এখন দেখার।