E Purba Bardhaman

ধান ব্যবসায়ীদের ‘ফড়ে’ বলার তীব্র বিরোধিতা জেলা সম্মেলনে

6th Burdwan District Conference of West Bengal State Paddy Merchants' Association organized at Burdwan Town Hall

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ”আমরা ফড়ে নই। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান যখন কেনা হয় তখনই সৃষ্টি হয় এই তথাকথিত ফড়েদের। যাঁরা বিভিন্ন সংগঠন বা এজেন্সির প্রতিনিধি কিংবা রাজনৈতিক নেতা। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ফড়ে অর্থ চোর। আমাদের ফড়ে বলার বিরোধিতা করছি।” বুধবার বর্ধমান টাউন হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির ষষ্ঠ বর্ধমান জেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই গর্জে উঠলেন জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ মল্লিক। এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব ছাড়া বর্ধমান পৌরসভার পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার, জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল প্রমুখরাও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিৎ মল্লিক জানিয়েছেন, রাজ্যের এক মন্ত্রী কথায় কথায় তাঁদের ফড়ে বলে উল্লেখ করেছেন। এটা তাঁদের কাছে অত্যন্ত অসম্মানের। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা ধান ব্যবসায়ী। চাষীদের উৎপাদিত ধান কিনে তাঁরা খোলাবাজারে কুইন্টাল পিছু মাত্র ৩ থেকে ৫ টাকা লাভে ওই ধান বিক্রি করেন। বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়। এফসিআই এবং রাজ্য সরকার সবমিলিয়ে প্রায় ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনে। বাকি ধান তাঁরাই কিনে চাষি এবং বাজারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেন। এই ধান তাঁরা বিভিন্ন রাইসমিলেও বিক্রি করেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, গোটা জেলায় এই মুহূর্তে বিভিন্ন রাইসমিল থেকে তাঁদের অনাদায়ি অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এদিন তিনি দাবি করেছেন, প্রকৃত ফড়ে ও দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন তাঁরা। এদিন এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে ধান কেনায় ধান্য ব্যবসায়ীকে যুক্ত করা, রাস্তায় গাড়ি ধরার নামে জুলুমবাজি বন্ধ করা, মার্কেটিং ট্যাক্স বাতিল করা, ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য ২৫০০ টাকা করা-সহ কৃষক স্বার্থে সার ও ডিজেলে ভর্তুকি প্রদান করা প্রভৃতি দাবি তোলা হয়েছে।


Exit mobile version