E Purba Bardhaman

বর্ধমানের বাবুরবাগে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে গ্রেপ্তার ৭

Setting fire at Trinamool Congress supporter stores. At Burdwan Town

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের বাবুরবাগে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে ৬জন বিজেপির। অপরজন তৃণমূলের সমর্থক। ধৃতদের নাম অজয় মজুমদার, হারু কেশ, অমর রাউৎ, গোপাল রাউৎ, বিট্টু রাউৎ, প্রসেনজিৎ পাল ও শেখ বাপি। বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ, ময়ূরমহল, বাদশাহী রোড ও বাহির সর্বমঙ্গলা এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিস তাদের ধরে। ঘটনার বিষয়ে উভয়পক্ষ পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে পৃথক দু‘টি মামলা রুজু হয়েছে। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হয়ে বেশ কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, পুলিস বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ধারায় মামলা করেছে। ধারাটি জামিন অযোগ্য। বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আইনজীবীরা। মামলার অন্যধারাগুলি জামিনযোগ্য। কেবলমাত্র বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের জেলে আটকে রাখতে পুলিস ধারাটি প্রয়োগ করেছে বলে জানান আইনজীবীরা।সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দু‘পক্ষের সওয়াল শুনে ধৃতদের রবিবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম কল্লোল ঘোষ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাবুরবাগ এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর কর্মসূচি নেয় বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাবুরবাগ এলাকায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। সেই মতো, বাবুরবাগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার লাগোয়া হনুমান মন্দিরের কাছে পতাকা টাঙায় বিজেপির লোকজন। পরে সেখানে লাড্ডু বিলি করা হচ্ছিল। সেই সময় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বসিরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কানাই মির্জা সহ আরও কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। বিজেপির লোকজনকে মারধর করা হয়। স্টাফ কোয়ার্টারের ভিতরে ঢুকে মহিলাদের মারধর করা হয়। এমনকি, ভাঙচুরও করা হয়। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা স্টাফ কোয়র্টার লাগোয়া টুলু শেখের দোকানে ভাঙচুর চালায়। দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। দোকানে লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ায় র‌্যাফ নামানো হয়। লাঠি উচিঁয়ে তাড়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে র‌্যাফ ও পুলিস। ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির তরফে দলের কর্মী বিবেকানন্দ পাল অভিযোগ দায়ের করেন। দোকানে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে টুলুর স্ত্রী রূপসা বিবি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বসির আহমেদ। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিজেপির কর্মসূচিতে আমাদের কেউ বাধা দেয়নি। বিজেপির লোকজনই আমাদের কর্মীর দোকানে আগুন লাগিয়েছে।

Exit mobile version