E Purba Bardhaman

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে, তৃণমূলের হাতছাড়া হতে চলেছে ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত

8 members of Baikunthapur 1 Gram Panchayat left the Trinamool Congress party and joined the BJP party

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলায় দুই জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল প্রায় এক হাজার সমর্থক। একইসঙ্গে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হবার সম্ভাবনাও তীব্র হল। বৃহস্পতিবার বর্ধমান এবং আউশগ্রামে দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে তৃণমূল ছেড়ে কয়েকশো সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তৃণমূলের দখলে থাকা প্রায় ৩টি পঞ্চায়েত বিজেপির হাতে আসার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠল। এদিন বিজেপির জেলা অফিসে যোগ দিলেন প্রায় ২৫০ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বর্ধমান ২ নং ব্লকের বৈকুন্ঠপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন তৃণমুল পঞ্চায়েত সদস্য। বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় জানিয়েছেনদু একদিনের মধ্যে আরো কয়েকজন যোগ দিতে চলেছে। বৈকুণ্ঠপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি বৈকুণ্ঠপুর ২ নং গ্রামে পঞ্চায়েতেরও বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দেবার আশা প্রকাশ করেছেন। খুব শীঘ্রই তাঁদের দলে নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেনএর ফলে বৈকুন্ঠপুর ১ ও বৈকুন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আসা কেবল সময়ের অপেক্ষা। তিনি জানিয়েছেন,এদিন বর্ধমান সদর ২নং ব্লকের পাল্লা শ্রীরামপুর থেকে প্রায় ৭০জন যুবক বিজেপির যুব মোর্চা শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও বড়শুল এলাকা থেকে ১৩০জন এবং বেচারহাট থেকে ৬জন যোগ দিয়েছেন। এঁরা সকলেই বিজেপির যুবমোর্চা শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এদিন বৈকুণ্ঠপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত শৈলন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যরিম্পা হালদার বিশ্বাসজবা সোরেনদিলীপ সরকারশিপ্রা ব্যানার্জ্জীমহাদেব ওরাং এবং ঝুমা কৈবর্ত্য আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন বিজেপির যুবমোর্চার শিবিরে। উল্লেখ্যলোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও জায়গায় তৃণমূল নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। খোদ বৈকুণ্ঠপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতেও শেষ৭ বছরের হিসাব চেয়ে জায়গায় জায়গায় বিজেপি সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেনঘেরাও করছেন তৃণমূল নেতাদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপের মুখে পড়ে অনেক তৃণমূল নেতাই দলত্যাগ করাই ভাল বলে মনে করছেন। এদিকেবর্ধমান সদর ব্লকের পাশাপাশি আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের রামনগর অঞ্চলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল করা হয়। মিছিলটি ছোঁড়া দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে মোড়বাঁধ বাসস্ট্যান্ড হয়ে পাণ্ডুক হাটতলায় এসে শেষ হয়। মিছিলে পা মেলান ৫২ নম্বর জেড পির সভাপতি দেবব্রত মন্ডল ও কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি রামনগর অঞ্চলের পুবার ও দেরিয়াপুর গ্রাম থেকে সংখ্যালঘু প্রায় ৭০০ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা বিজেপির বিজয় মিছিলে যোগ দেন। তৃণমূল ছেড়ে আসা সেখ মমিজুল হক জানিয়েছেনতৃণমুলের অত্যাচারতোলাবাজির জন্যই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাদের দাবীবিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। তৃণমূলই সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াতে চাইছে। তৃণমূলই সাম্প্রদায়িক বিরোধ তৈরীর চেষ্টা করছে। তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেনরামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৫টিতেই জয়ী হয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করতে চলেছে। যেভাবে বৈকুণ্ঠপুর ১ ও বৈকুণ্ঠপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আউশগ্রামের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তাতে এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত অচিরেই বিজেপির দখলে আসতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version