খণ্ডঘোষে খুনের ঘটনায় ৯ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার করতে পুলিশ হেপাজতে ৪
admin
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- খণ্ডঘোষের আলিপুরে সিপিএম সমর্থক শেখ কামরুল (৫৫)-কে খুনের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম মুশা হক মল্লিক, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ হাসানুজ্জামান ওরফে টুটুল, মোল্লা সইফুল আলম ওরফে ফটিক, শেখ আজিজুল হক, শেখ রেজাউল হক, মোল্লা আকতারুল হক, শেখ ইসমাইল ওরফে ভোটন ও সমীর আলি মল্লিক ওরফে সাহেব। খণ্ডঘোষ থানার নূরপুর ও কৈশর গ্রামে তাদের বাড়ি। ঘটনার পরই অভিযুক্তরা গলসির উড়োচটিতে কাঞ্চন হাজরার গোডাউনে গা-ঢাকা দেয়।
সেখান থেকে সোমবার রাতে গলসি থানার পুলিসের সাহায্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ধৃতরা কবুল করেছে বলে পুলিসের দাবি। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এবং বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পেতে সেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ হাসানুজ্জামান, শেখ রেজাউল হক ও শেখ ইসমাইলকে ৪ দিন পুলিসি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার অলোক কুমার মণ্ডল। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার খণ্ডঘোষে ওঁয়াড়িতে সিপিএমের একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল সফল করতে সিপিএমের তরফে এলাকায় প্রচার করা হয়। বিষয়টি কানে যেতেই তৃণমূলের লোকজন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে না যাওয়ার জন্য শাসায়। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন কামরুল। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন লাঠি, টাঙি, শাবল, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কামরুলের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে কামরুলের ছেলে শেখ মিনহাজউদ্দিন বাবাকে বাঁচাতে যান। তাঁকেও মারধর করা হয়। বাবা ও ছেলের আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশী শ্রীপদ রায়, শেখ সাবির হোসেন, সুবর্ণা মাঝি ও শেখ রেজাউল ছুটে গেলে তৃণমূলের লোকজন তাঁদেরও মারধর করে। শাবল দিয়ে শ্রীপদর পা ভেঙে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই সোমবার সকালে কামরুল মারা যান। মৃতের দাদা শেখ নাসির আলি ঘটনার কথা জানিয়ে সোমবার রাতে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ২৫ জনের নাম রয়েছে।