আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান) :- জাল নথিপত্র তৈরি করে এদেশের পাসপোর্ট বানিয়ে বসবাসের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে আউশগ্রাম থানার অধীন গুসকরা বিট হাউসের পুলিস। ধৃতদের নাম দুলাল শীল ও শোপনা শীল। বাংলাদেশের কক্সবাজারের বড় মহেশখালির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের আদি বাড়ি। বাংলাদেশের পাসপোর্টও তাদের রয়েছে। আউশগ্রাম থানার নেতাজি পল্লিতে তারা বর্তমানে থাকত। সেখান থেকেই বুধবার বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, দুলাল ও তার স্ত্রী শোপনা প্রায় ৯ বছর আগে এদেশে স্বপরিবারে আসে। তারা আউশগ্রামের নেতাজিপল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। তাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে। এদেশে অবৈধভাবে এসে তারা থাকতে শুরু করে। পরে তারা ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড এমনকি প্যান কার্ডও পেয়ে যায়। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টও রয়েছে তাদের নামে। ২০২৩ সালে তারা এদেশের পাসপোর্ট পেয়ে যায়। তাদের সম্পর্কে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা দপ্তর (ডিআইবি)। তদন্তে জানা যায়, তারা বাংলাদেশি। নকল নথিপত্র তৈরি করে ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে জালিয়াতি করে এদেশে এসেছে। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তারা এদেশে আসে। পরে, এদেশের ভোটার হয়। স্বামী-স্ত্রীর নামে জমিও রয়েছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। অবৈধভাবে এদেশে অনুপ্রবেশ করা এবং তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার জেলা গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও ফরেনার্স অ্যাক্টের ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা।