বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আর জি করের ঘটনা নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি ও আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তার থেকে সমাজের সমস্ত পেশার মানুষ সংগঠিত হয়েছেন, সেই সময় খোদ নিরাপত্তা রক্ষীদের বেষ্টনী পেরিয়ে মেডিকেল কলেজের ইলেকট্রিক স্টোর রুম থেকে চুরির ঘটনায় ফের বর্ধমান মেডিকেলের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠলো। যদিও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই হাতেনাতে ধরা পড়েছে দুই দুষ্কৃতি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চুরি যাওয়া সামগ্রী। তাদের বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ২ দুস্কৃতিকেই আটক করেছে। চুরির এই ঘটনা সামনে আসতেই সরব হয়েছেন বর্ধমান মেডিকেলে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আমরা যে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছি, সেই আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত তা সাতসকালে খোদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ চত্বরে চুরির এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেয়। আজ স্টোর রুমে চুরি হয়েছে, কাল যে হোস্টেলে আমাদের রুমে চুরি হবে না বা কোনো ছাত্রীর রুমে এরা ঢুকে যাবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? তাই নিরাপত্তা একশ শতাংশ সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই দুই দুষ্কৃতি বুধবার রাতে হাসপাতালের পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে। স্টোর রুম থেকে বিশেষ করে বৈদ্যুতিক পাখার যন্ত্রাংশ চুরি করতে থাকে। এই সময়ই নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখে পড়ে যাওয়ায় তারা হাতেনাতে ধরে দুই দুষ্কৃতিকে। তাদের একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। যদিও এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি ব্যানার্জী জানান, আমরা নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করছি না। আরও বেশ কিছু নিরাপত্তা রক্ষী আমাদের প্রয়োজন আছে। সেটা হলেই প্রাথমিকভাবে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।