E Purba Bardhaman

পূর্বস্থলীতে আয়োজিত হলো জেলা ভিত্তিক লোকশিল্পীদের সম্মেলন

A conference of folk artists of Purba Bardhaman district was organized under the initiative of Folk Culture and Adivasi Culture Center.

পূর্বস্থলী (পূর্ব বর্ধমান) :- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার লোকশিল্পীদের সম্মেলন। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এই জেলাভিত্তিক সম্মেলনে লোকপ্রসার প্রকল্পের ৫০০ জন নথিভুক্ত লোকশিল্পী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোঁয়ার, আরতি খান, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল প্রমুখ। সম্মেলনের ব্যবস্থাপনায় ছিল পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতি এবং শ্রীরামপুর-পূর্বস্থলী সংস্কৃতি ও ইতিহাস পরিমণ্ডল।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ১৩ হাজার নথিভুক্ত লোকশিল্পী রয়েছেন। যারা সরাসরি সরকারি সুবিধা পান। এছাড়াও জেলায় বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য ১ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানও করা হয়। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে জেলায় মোট ৮৫৩ টি বিভিন্ন জনকল্যাণকর অনুষ্ঠান করা হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে দশ হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। যাদের উৎসাহ ভাতা হিসাবে প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশী টাকা প্রদান করা হয়েছে।
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল জানিয়েছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়, যাতে লোকশিল্পীরা গান তৈরি করে জনকল্যাণমূলক প্রচার চালাতে পারেন। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুই গুণী শিল্পী মনিদীপা মজুমদার ও রমা মুন্সিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। লোক প্রসার প্রকল্পের অধীনে শিল্পীরা মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা পান এবং সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানের জন্য লোকশিল্পী পিছু ১০০০ করে সাম্মানিক প্রদান করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক-সহ মহকুমা আধিকারিকরা লোকশিল্পী সাথে সরাসরি কথা বলে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। এই ধরনের লোকশিল্পী সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার শিল্পীরা সরাসরি নিজের সমস্যা জানাতে পেরে খুশি বলে জানান রামশংকর মন্ডল।
জেলা পরিষদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তথ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোঁয়ার জানিয়েছেন, জেলার লোকশিল্পীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এবং একই সাথে বাংলার হারিয়ে যেতে বসা লোকশিল্প ও তার শিল্পীদের রক্ষার স্বার্থে সরকার বহুবিধ প্রকল্প নিয়েছে। তাঁদের আর্থিকভাবে সহযোগিতাও সরকার করছে। চলতি আর্থিকবর্ষে জেলার ৭০১ জন লোকশিল্পীকে নতুনভাবে নথিভুক্তকরণ করা হয়েছে যারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন। এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে এই রকম ৫ জন লোকশিল্পীকে আনুষ্ঠানিকভাবে লোকশিল্পী কার্ড প্রদান করা হয়।

Exit mobile version