বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের নান্দুড়ে আদিবাসী ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার পর ৬ দিন পার হয়ে গেলেও আজও অধরা আততায়ী। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার মৃত ছাত্রীর বাড়িতে এলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য মারিয়া ফার্নান্ডেজ ও চৈতালি লাহিড়ী। তাঁরা কথা বলেন মৃত ছাত্রীর মা ও বাবার সাথে। একইসঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তদন্তকারী অফিসার ও বর্ধমান থানার আইসির সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য মারিয়া ফার্নান্ডেজ জানান, সুয়োমোটো মামলা করেছি আমরা। পরিবারের সাথে সমস্ত দিক নিয়েই কথা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তদন্তকারী অফিসার ও থানার আইসি-র সাথে কথা বলবেন। ময়না তদন্তের রির্পোট তাঁরা দেখবেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যেই তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে আততায়ীর খোঁজে ভিনরাজ্যেও পুলিশের টিম গেছে। তদন্তের গতি প্রকৃতি দেখে প্রয়োজনে এসপির সাথে কথা বলবেন। এদিকে ঘটনার পর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও আততায়ী ধরা না পরায় ক্ষোভ বাড়ছে আদিবাসী সমাজে। আততায়ীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অববোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করছেন তারা। দ্রুত আততায়ীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফাঁসির দাবিতে সরব মৃত ছাত্রীর মা-বাবাও। প্রবল আদিবাসী বিক্ষোভের জেরে ১০ দিনের মধ্যে আততায়ীকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় জেলা পুলিশ। তারপরও আজ ২ দিন কাটতে চললেও এখনও অধরা আততায়ী, কবে মিলবে বিচার – প্রশ্ন করছে নান্দুড়।