বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ইণ্টারনেট সাহিত্যকে কার্যত ক্ষতি করছে। মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে ইণ্টারনেট। ফলে সাহিত্যের ওপর তার সূদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। রবিবার বর্ধমানের উদয়চাঁদ জেলা গ্রন্থাগারের সভাগৃহে খাসকথা পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সাহিত্য অঙ্গনে ইন্টারনেট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বললেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। এদিন এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ সুপ্রিয় অধিকারী। অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কিউরেটর ড. রঙ্গনকান্তি জানা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক সুজিত চট্টোপাধ্যায়, ইউ আই টি-র অধ্যক্ষ অধ্যাপক অভিজিত মিত্র, খাসকথা পত্রিকার সম্পাদক মাধব ঘোষ প্রমুখরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইণ্টারনেটের সুফল ও কুফল দুইই রয়েছে। কে কিভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করবেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই ইণ্টারনেট কার্যত একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আগে যেভাবে সাহিত্যিকরা নিজেদের চিন্তাভাবনাকে সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলতেন এবং প্রকাশকরা এগিয়ে আসতেন। এখন সেখানে ভাঁটা পড়েছে। এখন প্রকাশকরাও সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। যদিও এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেকেই ইণ্টারনেটের সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন ইণ্টারনেটের ফলে নকল করার বিষয়টি এখন অনেকটাই কমে গেছে। ইণ্টারনেটের ফলে জ্ঞানের পরিধি এবং জানার আগ্রহ বেড়েছে।