বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান ফুডিস ক্লাবের উদ্যোগে উৎসব ময়দানে প্রথম শুরু হতে চলেছে খাদ্যমেলা ‘খাদ্যান্বেষণ’। এই উপলক্ষে রবিবার বর্ধমান শহরে সাংবাদিক বৈঠক করে বর্ধমান ফুডিস ক্লাব। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মৈনাক মুখার্জি, সম্পাদক দেবজিৎ সিনহা-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দেবজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, আগামী ৯ থেকে ১৩ নভেম্বর বর্ধমান শহরের শাঁখারীপুকুর উৎসব ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে তাঁদের এই খাদ্য উৎসব ‘খাদ্যান্বেষণ’। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। থাকছে না কোনও প্রবেশমূল্য। ৫ দিনের এই মেলায় পূর্ব জেলা-সহ সংগলগ্ন কয়েকটি জেলার ৬০ টি স্টল থাকবে। দেবজিৎ জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে অনেক মানুষজন তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ফুড ব্যবসা শুরু করেছেন। সেই সমস্ত ব্যবসায়ীকে কিছুটা সহযোগিতা করার জন্য-ই এই মেলা। এরই সাথে থাকছে বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানও। থাকবে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত আবাসিকদের খাবার স্টল ‘উদয়ন’। খাদ্য মেলায় নানান খাবারের পসরা সাজিয়ে থাকবে বিভিন্ন স্টল। তার সাথে থাকবে সঙ্গীত ও নৃত্যের অনুষ্ঠানও। দেবজিৎ জানিয়েছেন, বর্ধমানের স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে থাকছে প্রতিদিনই অনুষ্ঠান। ১২ নভেম্বর থাকছে দমদম সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত আবাসিকদের অনুষ্ঠান।
মৈনাক মুখার্জি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক রেস্তোরাঁ ও ফুড স্টলের পাশাপাশি নদীয়া, কলকাতা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলী-সহ কয়েকটি জেলার প্রায় ৬০ টি স্টল থাকছে তাঁদের উৎসবে। ফুড ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গাংপুরের কাছে বর্ধমান ফুডিস ক্লাবের নির্মীয়মান বৃদ্ধাশ্রম ‘দর্পন’-এর উন্নতিসাধন করাই তাঁদের লক্ষ বলে জানিয়েছেন মৈনাক মুখার্জি।
খাদ্যের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয় নিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান সময় অভিযোগ আসে। সেই বিষয়ে এদিন মৈনাক মুখার্জি জানিয়েছেন, কোনও প্রতিষ্ঠানই চাইবে না তাঁদের খাবারটা খারাপ হোক। বাড়ির খাবারও খারাপ হতে পারে, নন-হাইজেনিক হতে পারে। তবে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মেনে চলুন -এটা তাঁরা চান। তিনি বলেন, কর্মীদের মাস্ক, হেড ক্যাপ, গ্লাভস অনশ্যই ব্যবহার করা উচিত। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে ক্রেতাদেরও সচেতন করছেন বলে জানিয়েছেন মৈনাক মুখার্জি। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়ে তাঁরা কোনও উদ্যোগ নেবেন কিনা সেবিষয়ে এদিন তাঁরা কিছু জানান নি।