E Purba Bardhaman

৫ লক্ষ টাকা দিয়েও প্রাথমিক স্কুলে চাকরি না পেয়ে পুলিসি তদন্ত চেয়ে বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা

A job seeker filed a case in the Burdwan CJM court seeking a police investigation after not getting a job in a primary school despite paying a bribe of Rs 5 lakh

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। নিয়োগে আর্থিক লেনদেন নিয়ে পৃথক তদন্ত করছে ইডি। এরই মধ্যে টাকা দিয়েও প্রাথমিকে চাকরি না পেয়ে পুলিসি তদন্ত চেয়ে বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর কাছ থেকে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। তাঁর চাকরি হয়নি। টাকাও ফেরত পাননি। চাকরি প্রার্থীর আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি শক্তিগড় থানায় জানানো হয়েছিল। কিন্তু, থানা অভিযোগ নেয়নি। বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এসপিকে জানানোর পরও প্রতিকার মেলেনি। সে কারণে শুক্রবার সিজেএম আদালতে মামলা করা হয়েছে। সিজেএম এ ব্যাপারে তদন্ত করে ১১ জানুয়ারি রিপোর্ট পেশের জন্য শক্তিগড় থানার ওসিকে নিের্দশ দিয়েছেন। পুলিসের রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর আদালত কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। শক্তিগড় থানার ওসি দীপক সরকার বলেন, এ ধরণের অভিযোগ জানাতে কেউ থানায় আসেনি। আদালতের নিের্দশের বিষয়ে কিছু জানা নেই। আদালত এ ধরণের নিের্দশ দিলে সেইমতো রিপোর্ট পেশ করা হবে।
আদালতে শক্তিগড় থানার বাজেশালেপুরের বাসিন্দা জগবন্ধু সরকার অভিযোগ করেছেন, গতবছর বাজেশালেপুরে এক ব্যক্তি বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। বর্ধমান শহরের ঘোরদৌড়চটি এলাকায় তাঁর আদি বাড়ি। তাঁর দুই ছেলেও ভাড়াবাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসতেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে সেচ দপ্তরের উচ্চ পদে চাকরি করেন বলে প্রচার করতেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের উপরমহলের লোকজনের ভালো যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি জাহির করতেন। নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর ছবিও তিনি দেখাতেন। এভাবে তিনি যে প্রভাবশালী তা এলাকার মানুষের কাছে প্রচার করতেন তিনি। কিছুদিন পর প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার তাঁর ক্ষমতা আছে বলে জানান তিনি। টেট পরীক্ষা দেওয়ায় চাকরির আশায় তাঁর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। ৫ লক্ষ টাকা দিলে প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁকে। সেইমতো তিনি জমানো টাকা ও স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা দেন। এ বছরে দুর্গাপুজোর আগেই তাঁর চাকরি হয়ে যাবে বলে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু, চাকরি হয়নি। পরে খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর মতো আরও বেশ কয়েকজনের টাকা দেওয়ার পরও চাকরি হয়নি। টাকা আদায়ের জন্য তিনি ভাড়াবাড়িতে যান। সেখানে তাঁর খোঁজ পাননি। পরে ঘোরদৌড়চটির বাড়িতেও আসেন তিনি। সেখানে জানতে পারেন, বাবা ও দুই ছেলে গা-ঢাকা দিয়েছে।

Exit mobile version