বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- টাকা ডবল করে দেওয়ার নামে প্রতারণায় ধৃত গোপাল সিং ও সীতারাম পোড়েলকে হেফাজতে নিয়ে তেমন কোনও তথ্য পেল না পুলিস। পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয় বলে পুলিসের দাবি। যদিও তাদের কাছ থেকে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। বারবার তারা বয়ান বদল করে পুলিসকে বিভ্রান্ত করেছে। তদন্তে তারা ঠিকমতো সাহায্য করেনি বলে পুলিস জানিয়েছে। সে কারণে টাকা ডবল করে দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনায় তদন্তে বিশেষ এগোতে পারেনি পুলিস। নতুন করে কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার ধৃতদের ফের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের আর হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায়নি পুলিস। পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের কাছ থেকে তেমন কোনও তথ্য না মেলার কথা বলে জামিন চান তাদের আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে তদন্তে তেমন অগ্রগতি না হওয়া এবং ধৃতদের ফের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন না জানানোর কথা উল্লেখ করে সপ্তাহে দু’দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা ও মামলার নির্ধারিত দিনে আদালতে উপস্থিত থাকার শর্তে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন বর্ধমান শহরের অনিতা সিনেমা লেন এলাকার একটি লজে হানা দিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। বেশ কিছুদিন ধরে লজে ঘর ভাড়া নিয়ে তারা টাকা ডবল করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল। বেশ কয়েকজন তাদের খপ্পড়ে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিস। লজের ঘর থেকে তিনটি বোতলে থাকা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও নানা নোটের মাপে কাটা কাগজের বান্ডিল উদ্ধার হয়।