E Purba Bardhaman

১০ মাস আগে ছেলের খুনের বিচার চাইতে দোরে দোরে ঘুরছেন পুত্র হারা মা

A mother who lost her son is seeking justice in the case of her son's murder 10 months ago

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রায় ১০ মাস আগে একমাত্র ছেলের খুনের ঘটনায় এখনও কোনো সুবিচার পেলেন না বলে অভিযোগ করলেন বর্ধমানের খোসবাগান এলাকার বাসিন্দা মন্দিরা মোহন্ত। গতবছর ২৩ ডিসেম্বর রাতে তাঁর একমাত্র ছেলে শুভাশীষ মোহন্তকে নৃশংস্যভাবে খুন করা হয়। রাতে হোটেলে খাবার আনতে গিয়ে খুন হয় শুভাশীষ। ভালো ফুটবল খেলোয়াড় এবং স্থানীয় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী শুভাশীষের খুনের ঘটনায় পুলিশ ২জনকে গ্রেপ্তারও করে। সেই সময় মন্দিরাদেবীরা বর্ধমানের ২ নং ইছলাবাদ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বর্তমানে তিনি তাঁর বাপের বাড়ি খোসবাগান এলাকায় থাকেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মন্দিরাদেবী এবং তাঁর কন্যা রুপা চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১০ মাস ধরে আদালতের দরজায় ঘুরছেন তাঁরা। কিন্তু কোনো সুবিচার পাননি। কেন তাঁর ছেলেকে খুন হতে হল এবং এই পরিকল্পিত খুনের ঘটনায় কারা কারা জড়িত তাও তাঁরা জানতে পারেননি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্দিরাদেবী জানিয়েছেন, তাঁদের কি অপরাধ? এই ঘটনায় কোনো সরকারী পিপি দাঁড়াতে চাইছেন না। উল্লেখ্য, মন্দিরাদেবীর মেয়ে রুপা চৌধুরী নিজে একজন সমাজকর্মী এবং মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের খুনের ঘটনায় তাঁরা বিচার চাইছেন। আদালতের ওপর আস্থা থাকলেও এবং ১০ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও কেবলই মামলার তারিখ দেওয়া হচ্ছে। কবে তাঁরা সুবিচার পাবেন। তাঁর ভাইয়ের খুনের ঘটনায় কারা জড়িত এবং কেনই বা তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছিল তা এখনও তাঁদের জানানো হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের খুনের ঘটনায় সুবিচার চেয়ে সুপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতির কাছে তাঁরা আবেদন জানাতে চলেছেন। এদিন শুভাশীষ মোহন্তর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে রূপা চৌধুরী জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার তাঁর ভাইকে নৃশংস্যভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কেবলমাত্র একটি ছোট কাঁচি ছাড়া কোনো কিছুই সিজার লিষ্টে দেখায়নি। অথচ তাঁরা জানেন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অনেক কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছিল। এদিন নিহত শুভাশীষ মোহন্তর মা মন্দিরা মোহন্ত জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মৃত্যুর আগে প্রোমোটারী ব্যবসায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বর্ধমান শহরের এক ব্যক্তির জমিকে জোর করে খেলার মাঠে পরিণত করায় ওই ব্যক্তির হয়ে তাঁর ছেলে আইনী লড়াই করছিলেন। সেই ঘটনার জেরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছিল কিনা তাও পরিষ্কার নয়। তাঁরা সমস্ত ঘটনার বিচার চান।

Exit mobile version