E Purba Bardhaman

বনদপ্তরকে না জানিয়েই গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় ডিভিসির সেচ খালের এক অংশের কাজ বন্ধের নির্দেশ

A part of the DVC's irrigation canal renovation work has been ordered to stop due to the uprooting of huge trees without informing the forest department. Hydraulic Crawler Excavator machine has been seized. At Chaitpur village in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই চলছে বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থানুকূল্যে ডিভিসির সেচখালগুলির পুরোদমে সংস্কারের কাজ। আর এই কাজ করতে গিয়ে বিশাল বিশাল গাছকে উপড়ে ফেলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানের চৈত্রপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার বনদপ্তরকে না জানিয়েই এভাবে গাছ তুলে ফেলার ঘটনা নজরে আসতেই বনদপ্তর বন্ধ করে দিল কাজ। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে গাছ উপড়ে ফেলার কাজে নিয়োজিত একটি জেসিপি মেশিনকেও। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সেচখালের বাঁধের কাজ করতে গিয়ে মাটি কাটার সময় গাছগুলি পড়ে যায়। তাঁরা কোনো গাছ উপড়ে ফেলেননি। গাছগুলিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে মাত্র। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে বনদপ্তরকে না জানিয়েই ওই গাছগুলিকে উপড়ে ফেলে তা বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরেই চৈত্রপুর সংলগ্ন বনদপ্তরের রেঞ্জারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বনদপ্তরের আধিকারিকরা সরজমিনে গোটা বিষয়টি দেখেই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই ঘটনা সম্পর্কে এদিন জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, বনদপ্তরকে না জানিয়েই গাছ কাটা এবং বিনা সরকারী টেণ্ডারে তা বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ পেয়েই তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে গিয়ে বনদপ্তরের অফিসাররা একটি জেসিপি মেশিনকে আটক করেছেন। গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ায় তার খোঁজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বনদপ্তরকে না জানিয়ে কিভাবে ওই গাছগুলিকে কাটা হচ্ছিল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, বনদপ্তরের নির্দেশে কাজ বন্ধ করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থানুকূল্যে হতে থাকা এই সেচখাল সংস্কারের কাজে বাধা সৃষ্টি হলে কাজ শেষ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। উল্লেখ্য, এই কাজের মূল বরাত পেয়েছে ম্যাকিনটস বার্ণ। তাদের কাছ থেকে অন্য একটি সংস্থা চৈত্রপুরের এই কাজ করছে। এদিন তারা জানিয়েছে, কাজ বন্ধ করে দেবার বিষয়টি তাঁরা তাঁদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাঁরাই ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে রবি চাষে সেচখালের মাধ্যমে জল দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বোরো চাষে জল দেওয়া হবে আগামী ২৫ জানুয়ারী থেকে। ফলে তার আগে সেচখালের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হলে বহু জায়গাতেই জল পাওয়া যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই বনদপ্তরের এই নির্দেশকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Exit mobile version