E Purba Bardhaman

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার পকেটমার

A person arrested on charges of pickpocket at Burdwan Hospital

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে স্ত্রীকে নিয়ে চিকিত্সার জন্য এসেছিলেন বর্ধমানের স্বস্তিপল্লীর বাসিন্দা রণজিত মালাকার। যথারীতি নিয়ম মেনে দাঁড়িয়েও ছিলেন লাইনে। আচমকাই তাঁর প্যাণ্টের পকেটের পিছনে টান পড়তেই সজাগ হয়ে যান দ্রুত। চকিতেই ঘুরে দাঁড়িয়ে একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেললেন পকেটমারকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। উল্লেখ্যএর আগেও বর্ধমা্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের কাছ থেকে টাকা সহ জিনিসপত্র ছিনতাই করার মত ঘটনা ঘটেছে। এমনকি রোগীদের ভুল বুঝিয়েও তাঁদের সোনার গহনা থেকে টাকা লোপাট করে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতিরা – এমনটাও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এসব অভিযোগের মধ্যেই বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে শয়ে শয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মাঝেই রীতিমত সাহসের ওপর ভর করে পকেট মারতে গিয়ে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনা প্রথম। ধৃত ওই পকেটমারের নাম শরিফ সেখ। বাড়ি বর্ধমানের বিসি রোডে বলে জানা গেছে। অভিযোগশরিফ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে চিকিত্সা করাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির পকেট থেকে টাকা বার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা তাকে পাকড়াও করে বর্ধমান থানায় পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,বুধবার সকালে আউটডোর বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন বর্ধমানের গাংপুর স্বস্তিপল্লী এলাকার বাসিন্দা রণজিৎ মালাকার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী উর্মিলা মালাকার। রণজিৎবাবুর অভিযোগআউটডোর সার্জারি বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ওই ব্যক্তি তার পিছন পকেটে হাত ভরে টাকা বের করার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরেই তাকে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর তাকে হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। রণজিৎবাবুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

Exit mobile version