E Purba Bardhaman

কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে ৭ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ধৃত প্রৌঢ়

A person has been arrested for allegedly extorting Rs 7 lakh by promising to provide job at Krishi Bikash Shilpa Kendra.

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রে ছেলের চাকরি করে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে সাত লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়। পূর্বস্থলী থানার চুপির কালীতলাপাড়ায় তার বাড়ি। রবিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা ধৃত কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন এই কারবারে জড়িত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতকে তিনদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলাপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ বজলুর রহমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে থানা। আদালতে বজলুর জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মহম্মদ ওয়াসিম রহমান বেকার। তিনি তাঁর চাকরির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। তাঁর সঙ্গে অমিতাভর পার্টির প্রাক্তন যুবনেতা হওয়ার সুবাদে পরিচয় ছিল। তিনি কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র নামে একটি সংস্থায় তাঁর বড় ছেলের চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বলে বজলুরকে জানানো হয়। চাকরির জন্য তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অমিতাভ। তাঁর পক্ষে অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে অভিযুক্তকে জানান বজলুর। চাকরি হলে মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন মিলবে বলে টোপ দেওয়া হয় তাঁকে। তাতে বিশ্বাস করে কয়েক দফায় অমিতাভকে ৭ লক্ষাধিক টাকা দেন বজলুর। চাকরির জন্য ওয়াসিমের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র নেওয়া হয়। তাঁকে একটি আবেদনপত্র পূরণ করানো হয়। ২০২৩ সালে বজলুরকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চাকরি প্রাপকদের একটি তালিকা পাঠানো হয়। তাঁকে ফের ছবি ও সচিত্র পরিচয় পাঠানোর জন্য বলা হয়। তিনি তা পাঠান। খুব শীঘ্রই তাঁর চাকরি হয়ে যাবে বলে ওয়াসিমকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু, দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তাঁর চাকরি হয়নি। এরপরই সংস্থার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেন বজলুর। তিনি জানতে পারেন, ওই সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বহু ছেলে–মেয়ের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাকা হাতানোর পিছনে একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তিনি টাকা ফেরত চান। যদিও তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এরপরই তিনি সিজেএম আদালতে মামলা করেন।

Exit mobile version