বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখা ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শেখ এনামূল হক। বর্ধমান শহরের পুরাতনচক এলাকায় তার বাড়ি। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্ড পদে কাজে সে যোগ দেয়। ২০১৯ সালে সে অবসর নেয়। সেই সময় সে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ছিল। শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা সে কবুল করে বলে পুলিসের দাবি। এরপরই রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা থেকে তিন দফায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাতেও ধৃত যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিসের অনুমান। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনার বিষয়ে বিশদে জানতে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৫ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির বড়বাজার শাখার সরকারি ফান্ডের ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল চিঠি নিয়ে এনামুল ব্যাংকে এসে সেই টাকা তোলার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়। জমা দেওয়া নথিপত্র দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। ব্যাংকের তরফে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, টাকা তোলার জন্য কোনও নথিপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার নেহা রাণি বর্ধমান থানায় ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে থানা। বর্ধমান থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে। অপর একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।