গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের বৈদ্যনাথ কাটরায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে অপারেশন সেরে ডাকাত দলটি লরিতে চেপে চম্পট দেয় বলে মনে করছে সিট। কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিটের হাতে এসেছে। তাতে কয়েকজনকে পিঠে ব্যাগ নিয়ে লরিতে চাপতে দেখা যাচ্ছে। ডাকাত দলটির ব্যাঙ্ক ছাড়ার সময়ের সঙ্গে লরিটি যে সময়ে যায় তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে লরিতে চেপে চলে যাওয়া যুবকদের ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে লরিতে চেপে যাওয়ার যুবকদের সঙ্গে ডাকাতদের চেহারার মিল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুষ্কৃতীদের পোশাকের সঙ্গে লরির যুবকদের পোশাকের অমিল রয়েছে। তবে, কি অপারেশন সেরে লরিতে চেপে পালানোর আগে দুষ্কৃতীরা পোশাক পরিবর্তন করেছিল? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এদিকে ঘটনার ছ’দিন পর বৃহস্পতিবার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির দল ব্যাঙ্কে আসে। দলের দুই সদস্য ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। বিশেষ করে ভল্ট ও সেফের কাছে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। ঘটনার পর ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। তার ফলে, অনেক প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দেরিতে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও জেলার পুলিসকর্তাদের দাবি, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই আসতে দেরি হয়েছে। বিলম্বের কারণে তেমন তথ্য নষ্ট হবে না।
এদিকে, এদিনও সিআইডির বর্ধমান অফিস থেকে কয়েকজন অফিসার ব্যাঙ্কে এসে তথ্য সংগ্রহ করেন। ব্যাঙ্কের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সিআইডির ডি.আর.বি.টি. সেলও বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সিটকে ঘটনার কিনারায় সাহায্য করছে। বর্ধমানে স্বর্ণ ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনায় ডিআরবিটি সেল তদন্ত করে। ডাকাত দলটিকে ধরতে সমর্থ হয় তারা। প্রাথমিকভাবে ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় ভিনরাজ্যের গ্যাং জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেক্ষেত্রে কয়েকদিনের মধ্যে তদন্তে অগ্রগতি না হলে ব্যাঙ্ক ডাকাতির তদন্তভারও সিআইডির ডি.আর.বি.টি. সেলের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।