E Purba Bardhaman

বর্ধমান শহরে চোর সন্দেহে গণপিটুনি এক কিশোরকে

a teenager has been mass beaten on suspicion of being a thief at burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ফের গণপিটুনির শিকার হল এক কিশোর। চোর সন্দেহে তাকে বেঁধে বেধড়ক লোহার রড দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ গুরুতর জখম কিশোরকে উদ্ধার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটল বর্ধমানের জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার অফিসের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কোর্ট কম্পাউণ্ডের হকার্স মার্কেট এলাকায়। আহত কিশোর বর্ধমান ষ্টেশনের বাসিন্দা। বর্ধমান ষ্টেশনেই থাকে সে। রাস্তায় রাস্তায় প্ল্যাষ্টিকের পরিত্যক্ত জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সে বিক্রির কাজ করে। জানা গেছে, এদিন দুপুরবেলায় সে হকার্স মার্কেটে একটি ইলেকট্রিকের দোকানের সামনে পড়ে থাকা প্ল্যাষ্টিক কুড়ানোর কাজ করছিল সে। তার সঙ্গে আরও একটি কিশোর ছিল। এই সময় হকার্স মার্কেটের একটি ইলেকট্রিক দোকানের মালিক ওই কিশোরদের মাল চুরি করার অভিযোগে ধরেন। দোকান মালিক আশীষ চক্রবর্তীর অভিযোগ, দোকানের সামনে রাখা ৪টি বস্তা নিয়ে পালাচ্ছিল ওই কিশোররা। একজন কিশোর পালিয়ে গেলেও অন্যজন ধরা পড়ে। এরপর দোকানের সামনে থাকা একটি পাইপে বেঁধে তাকে বেধড়ক মারধর করে। লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপরই রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকে ওই কিশোর। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে দোকানের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, ওই কিশোরকে মারধর করার ঘটনা স্বীকার করেছেন দোকান মালিক আশীষ চক্রবর্তী। তবে তিনি লোহার রড দিয়ে মারার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হাল্কা চড় থাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। যদিও এই ঘটনার পরই দোকান ছেড়ে পালিয়ে যায় দোকান মালিক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

Exit mobile version