বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা বিশ্ব জুড়েই চলছে স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের তত্পরতা। সম্প্রতি বিশ্বের ১৯৩ টা দেশ মিলে তৈরী করেছে ১৬৯ টি লক্ষ্যমাত্রা এবং ৩০৬ টি সূচক। আর সেই লক্ষ্যমাত্রা এবং সূচককে মাথায় রেখেই বাংলায় ৯টি থিমের প্রশিক্ষণ চলছে জোরকদমে। বুধবার বর্ধমান জেলা বীজ খামারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল প্রথম দফার ৬টি থিমের প্রশিক্ষণ। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সংস্থার সহকারী জেলা ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর অরুণ ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশেষত সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকেই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রশিক্ষণ। গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, কর্মচারী, সচিব এবং সংযোগকারী বিভাগের কর্মচারীদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলেছে। প্রথম দফায় এই ৯টি থিমের মধ্যে ৬ টি থিমের প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষ হল বুধবার। প্রথম দফায় যে থিমগুলি নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হল সেগুলি হল দারিদ্রমুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন, সুস্বাস্থ্য সম্পূর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন, নির্মল ও সবুজ গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন, স্বয়ংসম্পূর্ণ পরিকাঠামোযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন, সামাজিক সুরক্ষিত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন এবং নারী বান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন। যে ৩টি থিমের প্রশিক্ষণ বাকি রইল সেগুলি হল শিশু বান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন, বিশুদ্ধ পানীয় জলযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন এবং সু শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ। অরুণবাবু জানিয়েছেন, বাকি ৩টি থিমের প্রশিক্ষণ শুরু হবে আগামী জানুয়ারী মাসে। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেই বার্ষিক কাজের প্ল্যান তৈরী করতে হয় তাই ডিসেম্বর মাসকে এই প্রশিক্ষণের বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু এই থিমের প্রশিক্ষণ আগামী ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে তাঁরা সম্পূর্ণ করবেন। তিনি জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৩৩১০জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক অনুপ কুমার মণ্ডল, প্রশিক্ষণ সঞ্চালক সৌমিত্র ভট্টাচার্য্য, মধুশ্রী রায় ভৌমিক, লোকশিক্ষা সহায়ক মহম্মদ আলি, উত্তম ভাণ্ডারী প্রমুখরাও। অরুণবাবু জানিয়েছেন, আগামী দিনে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের কাণ্ডেরই আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামোন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করতে হবে, কিভাবে সেই কাজ করা হবে, কোথা থেকে টাকা পাওয়া যাবে সমস্ত বিষয়কেই এই প্রশিক্ষণে তুলে ধরা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে কিভাবে পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কিভাবে তা বাস্তবায়িত করতে হবে।