E Purba Bardhaman

ভোটপর্ব চলার মাঝেই জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরি করতে এসে গ্রেপ্তার যুবতী

A young girl was caught when she came to work with the Food Department's fake appointment letter

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- খাদ্য দপ্তরের জাল নিয়োগপত্র নিয়ে বর্ধমান অফিসে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ল এক যুবতী। তাকে ধরে বর্ধমান থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে জেলা খাদ্য নিয়ামক দেবমাল্য বসুর অভিযোগের ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃত যুবতীর নাম দীপিকা রায়। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার আমডিহার রায়পাড়ায় তার বাড়ি। জাল নিয়োগপত্রটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় নি পুলিস। কর্মবিরতির কারণে এদিন ধৃতের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। ধৃত নিজেই জামিনের সওয়াল করে। আদালতে সে জানায়, ডাকযোগে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছে। কিভাবে বা কে তাকে নিয়োগপত্র পাঠিয়েছে তা তার জানা নেই। জাল নিয়োগপত্রের বিষয়েও তার কিছু জানা নেই। সওয়াল শুনে ধৃতকে ২৭ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস।

     পুলিস ও খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বর্ধমানে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরে গ্রুপ-ডি পদে জয়েন করার জন্য আসে দীপিকা। নিয়োগপত্রে খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারির সই রয়েছে। নিয়োগপত্রটি ১৩ মে ইস্যু করা হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন নিয়োগপত্র ইস্যু করা নিয়ে দপ্তরের কর্মীদের সন্দেহ হয়। নিয়োগপত্রটির বয়ান দেখেও সন্দেহ হয় দপ্তরের আধিকারিকদের। নিয়োগপত্রের বিষয়ে জানতে জেলা খাদ্য দপ্তর থেকে ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ডেপুটি সেক্রেটারি এ ধরণের কোনও নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়নি বলে জানিয়ে দেন। এরপরই দীপিকাকে আটকে রেখে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে দীপিকা বলে, বেশ কয়েকবছর আগে বাবা স্বপন কুমার রায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যান। তিনি পুলিসকর্মী ছিলেন। বাবার চাকরি পেতে সরকারি দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। তাছাড়া বছর তিনেক আগে খাদ্য দপ্তরের নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলাম। সেখান থেকেই নিয়োগপত্র এসেছে বলে মনে হয়েছে। সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র হওয়ায় এনিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিইনি। তবে, চাকরির জন্য কাউকে টাকা-পয়সা দিইনি। কিভাবে নিয়োগপত্র আমার কাছে পৌঁছাল তা বুঝতে পারছি না।

Exit mobile version