E Purba Bardhaman

কর্তব্যরত চিকিত্সককে হেনস্তা করায় গ্রেফতার ১

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- চিকিৎসক দিবসের দিন কর্তব্যরত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম ছোট্টু মাল। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় তার বাড়ি। সোমবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। আইনজীবী পুলক মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ধৃতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। চিকিৎসক এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে মারধর করেছে। মারধরে তার চোখ কিভাবে ফুলে গিয়েছে তার উল্লেখ করেন আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভূঁইঞা জামিনের জোরালো বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে আটকে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে সপ্তাহে ১ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ১ হাজার টাকার বন্ডে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএমরতন কুমার গুপ্তা।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রবিবার রাতে রাধারাণি ওয়ার্ডের ৩-৪ ব্লকে ডিউটি করছিলেন ডাঃ শুভদীপ মিত্র। রোগীদের দেখার সময় ছোট্টু সহ কয়েকজন মদ্যপ যুবক সেখানে আসে। চিকিৎসক তাদের ওয়ার্ড থেকে বের হতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবকরা চিকিৎসককে গালিগালাজ করে। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকের কলার ধরে হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ডাঃ সাত্যকি রায় সেখানে আসেন। তিনি যুবকদের গণ্ডগোল না করার জন্য বলেন। তাঁকেও গালিগালাজ করে যুবকরা। এরপর হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের ডেকে পাঠান চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা কর্মীদের দেখতে পেয়ে যুবকরা দৌড় শুরু করে। তাড়া করে নিরাপত্তাকর্মীরা ছোট্টুকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুভদীপবাবু ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। কিছুদিন আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর পরিবারের লোকজনের হাতে নিগৃহীত হন ডাঃ কে কে দে সহ কয়েকজন চিকিৎসক। তার আগে কীটনাশক খাওয়া এক দম্পতির চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তারপরও হাসপাতালে বারবার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাস দুয়েক আগে আচমকা পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য সচিব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপরও যে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলেঢালা রয়েছে বারবার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

Exit mobile version