বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায়, সেই সময় খোদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা পিজিটি চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মন্তেশ্বরের রাইগ্রাম অঞ্চলের বোরুণা গ্রামের বাসিন্দা ফারসিনা খাতুন মণ্ডলকে সাপে কামড়ালে তাঁকে নিয়ে আসা হয় বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন ফারসিনা খাতুন মণ্ডলের স্বামী কামরুল জামাল মণ্ডল স্ত্রীর এই আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর কামরুল মণ্ডলের ছেলে নুরুদ্দিন মণ্ডল তাঁর বাবার মৃতদেহ বেড থেকে নামিয়ে নিয়ে আসার সময় অভিযোগ মেডিসিন বিভাগের পিজিটি এক চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর গা ঠেকে। যদিও ওই চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে নুরুদ্দিন মণ্ডল দুর্ব্যবহার ও অশালীন আচরণ করেছেন বলে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। তার শ্বশুর লালন সেখের বিরুদ্ধেও ডাক্তারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ নুরুদ্দিন মণ্ডল এবং তাঁর শ্বশুর লালন সেখকে আটক করেন। ওই চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা পিজিটি চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নুরুদ্দিন মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁর মাকে সাপে কামড়িয়েছে। মা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, এই অবস্থায় তাঁর বাবা মায়ের এই অবস্থা দেখে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এই অবস্থায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ওই চিকিৎসক মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বস্তুত আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় কোনো ঝুঁকিই নিতে চাইছে না পুলিশ প্রশাসন। আদপেই কী ঘটেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।