বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কলতলায় এঁটো ভাত ফেলা নিয়ে বিবাদের জেরে প্রতিবেশীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জামালপুর থানার পুলিস। ধৃতের নাম চঞ্চল হাঁসদা (৩০)। জামালপুর থানার ডাঙা ফরিদপুরে তার বাড়ি। বুধবার রাতে জামালপুর থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ মে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন বেলা ১টা নাগাদ ডাঙা ফরিদপুরের বাসিন্দা যুধিষ্ঠির রুইদাস গ্রামের রাস্তার পাশে পঞ্চায়েতের টিউবওয়েলের জলে স্নান করছিলেন। সেই সময় চঞ্চল ও তার মা কলতলায় বাসনপত্র ধুতে আসেন। কলতলায় এঁটো ভাত ফেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেন যুধিষ্ঠির ও তাঁর স্ত্রী আরতি রুইদাস। সেজন্য চঞ্চল ও তার মা তাঁদের গালিগালাজ করে। এনিয়ে বচসা বাধে। সেই সময় কলতলা থেকে কিছুটা দূরে পড়ে থাকা একটি বাঁশ নিয়ে এসে যুধিষ্ঠিরকে বেধড়ক পেটায় চঞ্চল। বাঁশের ঘায়ে মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। যুধিষ্ঠিরকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএসে ভির্ত করা হয়। সেখানে ২২ মে তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আরতি। ঘটনার কিছুদিন পর তিনি থানায় যান। থানা থেকে তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো মৃতের স্ত্রী বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করার জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নিের্দশ দেন সিজেএম। আদালতের নিের্দশে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। এর আগে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিস।