E Purba Bardhaman

ইডির উচিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Abhishek Banerjee demanded that the ED arrest the national President of BJP

কালনা (পূর্ব বর্ধমান) :- ইডির উচিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা। কারণ যে ১০০ কোটি টাকার স্ক্যাম বলছে তার মধ্যে ৫৫ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিতে গেছে। আপনারা এই প্রশ্নটা করুন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে। কেজরিওয়াল না হয় জেলে বসে আম খাচ্ছেন, বিজেপির সভাপতি তো বাড়িতে বসে আম খাচ্ছেন। ১০০ কোটি টাকার লিকার দুর্নীতিতে ৫৫ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিতে গেছে। তাহলে কেজরিওয়াল যদি জেল খাটেন তাহলে জেপি নাড্ডা জেলে থাকবেন না কেন? প্রধানমন্ত্রী তো বলছেন যে ইলেক্টোরাল বন্ড করা হয়েছে স্বচ্ছতা আনতে যাতে সব কিছু বোঝা যায়। তার জন্য ইলেক্টোরাল বন্ড লাগতো না সেটা চেকে দিলেও বোঝা যেত। উনি বলছেন ইলেক্টোরাল বন্ড করেছি বলে কে কাকে টাকা দিয়েছে বুঝতে পারছি। এর জন্য তো ইলেক্টোরাল বন্ড লাগত না চেকে দিলেই তো বোঝা যেত। কে কাকে টাকা দেবে এটাতো আরটিজিএস করেও টাকা দেওয়া যেত, এনএফটি কোর্ডের মাধ্যমেও দেওয়া যেত, চেকের মাধ্যমেও দেওয়া যেত, তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে দেওয়ার কি মানে হলো! এতো বিজেপিই করেছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় কর্মীসভায় এসে এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কেজরিওয়াল জামিনের জন্য আবেদন করছেন এবং ইডি বলছে উনি মিষ্টি খাচ্ছেন আর আম খাচ্ছেন সুগার বাড়াচ্ছেন জামিনের জন্য। তার উত্তর দিতে গিয়েই অভিষেক একথা বলেন। অপরদিকে, বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা নেবে, এগুলো সব হতাশার বহিঃপ্রকাশ, তাঁরা জানে নির্বাচনে তাঁদের রাজনৈতিক মাটি পায়ের তলা থেকে সরে গেছে এবং সেই কারণে এই ধরনের জিনিসগুলি তাঁরা অনবরত করে চলেছেন। তাঁরা করুক আমার শুভেচ্ছা রইল। ৪ তারিখ ফল ঘোষণা হবে কাদের সাথে মানুষ আছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। ইডি দাবি করছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের যে ভয়েস স্যাম্পেল সেটা মিলেছে, তারা আদালতে জমা দেবে। এর উত্তরে অভিষেক বলেন, ইডি আদালতে জানাবে, এখানে আমার তো কিছু বলার নেই। ভয়েস ক্লিপিংটা যার সাথে তাকে অ্যারেস্ট করেছে? তাকে তো অ্যারেস্ট করেনি। যার সাথে কথা তাকে অ্যারেস্ট করেছে কি? কার সাথে কথা? সেটাতো ইডি বলতে পারবে। আমি তো ইডিতে চাকরি করি না। যাকে টাকা নিতে দেখা যায়, তাকে যখন ইডি বা সিবিআই অ্যারেস্ট করে না, তখন তো আপনারা প্রশ্ন করেন না। ইডি যদি কোনো রকমের দাবি করে থাকে তাহলে ইডি জানাবে কোর্টে। আমি তো লড়ছি, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে। ইডি ক্ষমা চেয়েছে সুপ্রিমকোর্টে, আমাকে এয়ারপোর্টে আটকেছে বলে। ইডিকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে সুপ্রিমকোর্টে এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা ইডিকে জিজ্ঞাসা করেছেন? আপনাদের আধিকারিককে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর মেজাজ হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হতাশার বহিঃপ্রকাশ। উল্লেখ্য, এদিন কালনার এই কর্মী সম্মেলনে কালনার দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিষেক। কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান যাতে কাজ করতে পারেন, সেটা সকলের দেখা দরকার। রায়নায় শম্পা ধারা ও বামদেব মন্ডলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন অভিষেক। তিনি নির্দেশ দেন, মেমারিতে ব্লক সভাপতি ও বিধায়ককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দলের কর্মসূচিতে যাঁরা থাকবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝগড়াঝাঁটি মিটিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। অভিষেক বলেন, রাজ্য সরকার যা কাজ করেছে, বাড়ি বাড়ি যেতে পারলেই দল জিতে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’টি আসনই চাই। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে নবগঠিত নির্বাচনী কমিটি তার পর্যালোচনা বৈঠক হয় এদিন। প্রার্থীসহ জেলা নেতৃত্বরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক আলোচনা হয় বিস্তারিতভাবে। অভিষেক বলেন, আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক ও দৃঢ় বিশ্বাসী যে আগামী নির্বাচনের ফল যখন ঘোষণা হবে বর্ধমান পূর্বে আমাদের ব্যবধান গত নির্বাচনের তুলনায় আরো বাড়বে। সাতটা বিধানসভাতেই তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ মানুষের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ও সমর্থন নিয়ে ভালো ফল করবে।

Exit mobile version