E Purba Bardhaman

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিস সেল থেকে পালালো জাল নোটের কারবারে অভিযুক্ত

Stock Photo - Burdwan Medical College and Hospital

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিস সেল থেকে পালাল জাল নোট পাচারে অভিযুক্ত এক যুবক। সোমবার হাসপাতালের পুলিস সেল থেকে পালায় সে। ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু, পলাতককে এখনও ধরতে পারেনি পুলিস। এই ঘটনায় সেলের দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। পাশাপাশি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হাসপাতাল চত্বরকে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের নজরদারিও চালানো হয়। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাতে হাসপাতালের পদাধিকারীরা কি ঘটছে তা দেখতে পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিস সেল থেকে দুষ্কৃতি পালানোর ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের নজরদারি কতখানি হয় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেলার এক পুলিস কর্তা বলেন, কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পলাতক অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চমীর দিন জাল নোট সহ কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামের বাসিন্দা খাজু থাণ্ডারকে মন্তেশ্বর থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ২৫টি ২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয় বলে পুলিসের দাবি। তাকে হেফাজতে নেয় পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল নোটের কারবারে কাটোয়া থানার গাঙ্গুলিডাঙার বছর বাইশের যুবক আলম শেখ ওরফে আলমাসকে মন্তেশ্বর থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে। আদালতে পেশ করে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিস। পুলিসি হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে আলমাস। তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পুলিস সেলে রেখে তার চিকিৎসা শুরু হয়। সেখান থেকেই পালিয়ে যায় সে। কিভাবে সে পালাল তা নিয়ে ধন্দে সেলের নিরাপত্তাকর্মীরা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমাসের বিরুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। গত বছরের ২৬ এপ্রিল কাটোয়া থানার পুলিস আলমাস ও মহম্মদ নইমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি বোতলে মাদক দ্রব্য কোডাইন উদ্ধার হয় বলে পুলিসের দাবি। সেই মামলায় কিছুদিন আগে প্রমাণাভাবে আলমাস ও নইমুদ্দিনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন মাদক সংক্রান্ত বর্ধমানের বিশেষ আদালতের বিচারক নন্দন দেব বর্মণ। মন্তেশ্বর থানার এক অফিসার বলেন, পুলিসি হেফাজতে থাকা অবস্থায় আলমাস অসুস্থতা বোধ করে। সেজন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জাল নোট উদ্ধারের জন্য এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

Exit mobile version