গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কাস্টমস ও সিবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আপত্তিকর পার্সেল পাঠানো ও মোটা অঙ্কের টাকার বেআইনি লেনদেনের কথা বলে বর্ধমান শহরের এক বাসিন্দাকে ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। তাঁকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়। টাকা পাঠানোর পরে বিষয়টি জালিয়াতি বলে বুঝতে পারেন প্রতারক। এরপরই তিনি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা। থানার এক অফিসার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার কিনারায় সাইবার থানার সাহায্য নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগান এলাকায় ওই ব্যক্তির বাড়ি। কিছুদিন আগে বেলা ১০টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে বলে, আপনার নামে পাঠানো একটি পার্সেল ধরা পড়েছে। পার্সেলটি দিল্লি থেকে ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানো হচ্ছিল। পার্সেলে অনেক আপত্তিকর মালপত্র রয়েছে। এরপর তাঁকে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলা হয়। ফোন না কেটেই দিল্লি পুলিশের এক অফিসারকে ফোনটি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁকে জানানো হয়। এরপর ফোনে অন্য আর একজন কথা বলেন। তাঁকে সিবিআইয়ের এক অফিসারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলা হয়। ফোনটি সিবিআই অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। সিবিআই অফিসার পরিচয় দেওয়া সেই ব্যক্তি বলে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ আছে। আপনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাড়াতাড়ি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা আরটিজিএস করে পাঠাতে বলা হয় তাঁকে। ভয় পেয়ে ওই ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা আরটিজিএস করে পাঠিয়ে দেন। তাঁর কাছ থেকে আরটিজিএস এর নম্বরও জেনে নেয় প্রতারকরা। পরে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন ওই ব্যক্তি।