বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সামনেই লোকসভা ভোট। ভোটের আগে সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক সুযোগ সুবিধা কতটা পৌঁছেছে তা জানতে জেলা সফর শুরু রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের পর বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, এটি তাঁদের স্টাডি মিটিং। প্রতিটি জেলায় জেলায় ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন খাতে দেওয়া অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা তা যাচাই করছেন তাঁরা। খাতায় কলমের সঙ্গে বাস্তবটাকেও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন সরজমিনে। বৈঠক শেষে পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক কাজকর্মে সন্তোষ প্রকাশ করেই তিনি জানিয়েছেন, জাতিগত শংসাপত্র দেবার ক্ষেত্রে কোনোরকম দেরী করা চলবে না। দ্রুত সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষকে জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে দিতে হবে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন বৈঠকে ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল, জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ তোলেন উপস্থিত প্রতিনিধিরাও। পরে সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, জাতিগত শংসাপত্র সঠিক সময়ে না পাওয়া নিয়ে এদিন তাঁর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। তাঁর কাছে কোনো অভিযোগ এলেই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উল্লেখ্য,এদিনের বৈঠকে নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনের মোট ঘটনা ঘটছে চলতি আর্থিক বছরে ৮২টি। তার মধ্যে ৬৪টি কেসের ফয়সালা হয়ে গেছে। ১৮টি কেস এখনও বিচারাধীন। এই ৮২টি কেসের মধ্যে সংখ্যালঘু শ্রেণীর কেস রয়েছে ৭টি। তিনি জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু মানুষের ওপর অত্যাচারই হোক কিংবা যেকোনো রকমের সমস্যার বিষয়ে তাঁকে জানালে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।